সূক্ষ্ম পদার্থ সর্ব্বদাই আমাদের দৃষ্টিক্ষেত্র হইতে পলাইতেছে এবং আমাদের উহাকে আমাদের স্তরে আনিবার চেষ্টায় উপহাস করিতেছে। এ ক্ষেত্রে মহম্মদকেই পর্ব্বতের নিকট যাইতে হইবে—‘না’ বলিবার উপায় নাই। মানব যদি সেই উচ্চতর রাজ্যের সৌন্দর্য্য-রাশি সম্ভোগ করিতে চায়, যদি সে উহার বিমল আলোকে অবগাহন করিতে চায়, যদি সে আপন প্রাণ সেই জগৎকারণ জগৎপ্রাণের সহিত একযোগে নৃত্য করিতেছে, দেখিতে চায়, তবে তাহাকে তথায় উঠিতে হইবে।
জ্ঞানই বিস্ময়-রাজ্যের দ্বার খুলিয়া দেয়, জ্ঞানই পশুকে দেবতা করে, এবং যে জ্ঞান আমাদিগকে সেই বস্তুর নিকট লইয়া যায়, যাঁহাকে জানিলে আর সকলই জানা হয় (যস্মিন্নু ভগবো বিজ্ঞাতে সর্ব্বমিদং বিজ্ঞাতং ভবতি[১])—যাহা সকল জ্ঞানের হৃদয় স্বরূপ, যাহার স্পন্দনে সমুদয় বিজ্ঞানের মৃত দেহে জীবন সঞ্চার হয়—সেই ধর্ম্মবিজ্ঞানই নিশ্চিত সর্বশ্রেষ্ঠ, কারণ, উহাই কেবল মানবকে সম্পূর্ণ ধ্যানময় জীবন যাপনে সমর্থ করে। ধন্য সেই দেশ, যাহা উহাকে “পরাবিদ্যা” নামে অভিহিত করিয়াছে!
কর্ম্মজীবনে তত্ত্বকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু তথাপি আদর্শটী কখনও নষ্ট হয় না।
- ↑ মুণ্ডকোপনিষদ্।১।১।৩।