দিব্যচক্ষে সেই পার্থসারথিকে দেখিতেছি, তিনি যেন উভয় বিরোধী সৈন্যদলের মধ্যে রথে দাঁড়াইয়া বামহস্তে দৃপ্ত অশ্বগণকে সংযত করিতেছেন—বর্ম্মপরিহিত যোদ্ধৃবেশ—প্রখর দৃষ্টি দ্বারা সমবেত বৃহৎ সৈন্যরাশিকে দর্শন করিতেছেন এবং যেন স্বাভাবিক জ্ঞানের দ্বারা উভয় দলের সৈন্যসজ্জার প্রত্যেক খুঁটিনাটি পর্য্যন্ত ওজন করিয়া দেখিতেছেন—আবার অপর দিকে, আমরা যেন, ভীতিপ্রাপ্ত অর্জ্জুনকে চমকিত করিয়া তাঁহার মুখ হইতে কর্ম্মের অত্যদ্ভুত রহস্য বাহির হইতেছে, শুনিতেছি—
“কর্ম্মণ্যকর্ম্ম যঃ পশ্যেদকর্ম্মণি চ কর্ম্ম যঃ৷
স বুদ্ধিমান্্ মনুষ্যেষু স যুক্তঃ কৃৎস্নকর্ম্মকৃৎ॥”
যিনি কর্ম্মের মধ্যে অকর্ম্ম অর্থাৎ বিশ্রাম বা শান্তি এবং অকর্ম্মে অর্থাৎ শান্তির ভিতর কর্ম্ম দেখেন, মনুষ্যগণের মধ্যে তিনিই বুদ্ধিমান, তিনিই যোগী, তিনিই সকল কর্ম্ম করিয়াছেন।
ইহাই পূর্ণ আদর্শ। কিন্তু খুব কম লোকে এই আদর্শে পঁহুছিয়া থাকে। সুতরাং আমাদিগকে যেমনটী আছে, তেমনটীই লইতে হইবে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিতে প্রকাশিত মানবের বিভিন্ন প্রকারের চরিত্রবিকাশগুলিকে লইয়া একত্র গ্রথিত করিয়াই সস্তুষ্ট হইতে হইবে।
ধর্ম্মাবলম্বীদের ভিতর আমরা তীব্র চিন্তাশীল (জ্ঞানযোগী),