অপরের সাহায্যের জন্য প্রবল কর্ম্মানুষ্ঠানকারী (কর্ম্মযোগী), সাহসের সহিত আত্মসাক্ষাৎকারে অগ্রসর (রাজযোগী) এবং শান্ত ও বিনয়ী ব্যক্তি (ভক্তিযোগী) দেখিতে পাই।
দ্বিতীয় অধ্যায়।
বর্ত্তমান প্রবন্ধে যাহার চরিত্র সংক্ষেপে বর্ণিত হইবে, তিনি একজন অদ্ভুত বিনয়ী ও উজ্জ্বল আত্মতত্ত্বদ্রষ্টা ছিলেন।
পওহারী বাবা (শেষজীবনে ইনি এই নামে অভিহিত হইতেন) বারাণসী জেলার গুজী নামক স্থানের নিকটবর্ত্তী এক গ্রামে ব্রাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অতি বাল্যকালেই গাজিপুরে তাঁহার পিতৃব্যের নিকট বাস ও তাঁহার নিকট শিক্ষা করিবার জন্য আসিলেন।
বর্ত্তমানকালে হিন্দু সাধুরা—সন্ন্যাসী, যোগী, বৈরাগী ও পন্থী প্রধানতঃ এই চার সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া থাকেন। সন্ন্যাসীরা শঙ্করাচার্য্যের মতাবলম্বী অদ্বৈতবাদী। যোগীরা যদিও অদ্বৈতবাদী, তথাপি তাঁহারা বিভিন্ন যোগপ্রণালীর সাধন করিয়া থাকেন বলিয়া তাঁহাদিগকে স্বতন্ত্র শ্রেণীরূপে পরিগণিত করা হয়। বৈরাগীরা রামানুজ ও অন্যান্য দ্বৈতবাদী আচার্য্যগণের অনুবর্ত্তী। মুসলমান-