পর্ব্বতের পাদদেশে সেই সুবৃহৎ শিলা বিদ্যমান, যাহার উপর সম্রাট্কুলের মধ্যে ধার্ম্মিকচূড়ামণি ধর্ম্মশোকের সর্বপ্রথমে আবিষ্কৃত অনুশাসন খোদিত আছে। উহার নিম্নদেশে শত শত শতাব্দীর বিস্মৃতির অন্ধকারগর্ভে লীন হইয়া অরণ্যাবৃত বৃহৎকায় স্তূপরাজি ছিল—ঐ গুলিকে অনেকদিন ধরিয়াই গিরনার পর্ব্বতশ্রেণীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শৈলমালা বলিয়া লোকে মনে করিত। এখনও উহাকে সেই ধর্ম্মসম্প্রদায় বড় কম পবিত্র মনে করে না—বৌদ্ধধর্ম্ম এক্ষণে যাহার পুনঃসংশোধিত সংস্করণ বলিয়া বিবেচিত হয়—আর আশ্চর্য্যের বিষয়, যাহা তাহার জগজ্জয়ী উত্তরাধিকারী আধুনিক হিন্দুধর্ম্মে মিশিয়া যাইবার পূর্ব্ব পর্য্যন্ত সাহসপূর্ব্বক স্থাপত্যক্ষেত্রে বিজয়লাভ করিবার চেষ্টা করে নাই।
তৃতীয় অধ্যায়।
মহাযোগী অবধূতগুরু দত্তাত্রেয়ের পবিত্র নিবাসভূমি বলিয়া গিরনার হিন্দুদিগের মধ্যে বিখ্যাত; আর কিম্বদন্তী আছে যে, এই পর্ব্বতের চুড়ায় সৌভাগ্যবান্ ব্যক্তিগণ এখনও বড় বড় সিদ্ধ যোগীর সাক্ষাৎ পাইয়া থাকেন।