তার পর আমরা দেখিতে পাই, এই যুবক ব্রহ্মচারী বারাণসীর নিকটে গঙ্গাতীরে জনৈক যোগসাধক সন্ন্যাসীর শিষ্যরূপে বাস বরেন—এই সন্ন্যাসীটী নদীর উচ্চ তটভূমির উপর খনিত একটী গর্ত্তে বাস করিতেন। আমাদের প্রবন্ধের বিষয়ীভূত মহাত্মা যে পরজীবনে গাজিপুরের নিকট গঙ্গাতীরে এক ভূখণ্ড খনন করিয়া তন্মধ্যে এক গভীর বিবর প্রস্তুত করিয়া বাস করিতেন, তাহা যে ইঁহার নিকটেই শিখিয়াছিলেন, এটী বেশ বুঝিতে পারা যায়।
যোগীরা যোগাভ্যাসের সুবিধার জন্য সর্ব্বদাই গুহায় অথবা যেখানকার আবহাওয়ার কোনরূপ পরিবর্ত্তন নাই এবং যেখানে কোন শব্দ মনকে বিচলিত করিতে না পারে, এমন স্থানে, বাস করিবার উপদেশ দিয়া গিয়াছেন।
আমরা আরও জানিতে পারি যে, তিনি প্রায় এই সময়েই বারাণসীতে জনৈক সন্ন্যাসীর নিকট অদ্বৈতবাদ শিক্ষা করিতেছিলেন।
অনেক বর্ষ ভ্রমণ, অধ্যয়ন ও সাধনার পর এই ব্রহ্মচারী যুবক, যে স্থানে বাল্যকালে প্রতিপালিত হইয়াছিলেন, তথায় ফিরিয়া আসিলেন। সম্ভবতঃ তাহার পিতৃব্য যদি জীবিত থাকিতেন, তবে এই বালকের মুখমণ্ডলে সেই জ্যোতিঃ দেখিতে পাইতেন, যাহা প্রাচীনকালে জনৈক শ্রেষ্ঠতর ঋষি তাঁহার