পাতা:পওহারী বাবা.djvu/২৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় অধ্যায়
১৭

শিষ্যের মুখ দেখিয়া বলিয়া উঠিয়াছিলেন, ‘ব্রহ্মবিদিব সোম্য ভাসি’[]—হে সৌম্য, আজ তোমার মুখ যে ব্রহ্মজ্যোতিতে দীপ্তি পাইতেছে, দেখিতেছি। কিন্তু যাঁহারা তাঁহাকে গৃহপ্রত্যাবর্ত্তনে স্বাগত অভ্যর্থনা করিলেন, তাঁহারা তাঁহার বাল্যকালের সঙ্গীমাত্র—তাঁহাদের অনেকেই সংসারে প্রবেশ করিয়াছিলেন—সংসার চিরদিনের জন্য তাঁহাদিগকে বাঁধিয়াছিল —যে সংসারে চিন্তাশীলতা অল্প, কিন্তু কর্ম্ম অনন্ত।

 তথাপি তাঁহারা তাঁহাদের পঠদ্দশার বন্ধু ও ক্রীড়াসঙ্গীর (যাহার ভাব বুঝিতে তাঁহারা অভ্যস্ত ছিলেন) সমুদয় চরিত্র ও ব্যবহারে এক পরিবর্ত্তন—রহস্যময় পরিবর্ত্তন লক্ষ্য করিলেন—ঐ পরিবর্ত্তন দেখিয়া তাঁহাদের হৃদয়ে ভয়বিস্ময়ের উদ্রেক হইল। কিন্তু উহাতে তাঁহাদের হৃদয়ে তাঁহার মতন হইবার ইচ্ছা, অথবা তাঁহার ন্যায় তত্ত্বান্বেষণ-স্পৃহ জাগরিত হইল না। তাঁহারা দেখিলেন, এ এক অদ্ভুত মানব—এই যন্ত্রণা ও জড়বাদপূর্ণ সংসারের বাহিরে একেবারে চলিয়া গিয়াছে—এই পর্য্যন্ত। তাঁহারা স্বভাবতঃই তাঁহার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসম্পন্ন হইলেন, আর কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন না।

 ইতিমধ্যে এই মহাত্মার বিশেষত্বসমূহ দিন দিন অধিকতর পরিস্ফুট হইতে লাগিল। বারাণসীর সন্নিকটবাসী তাঁহার

  1. ছান্দোগ্য উপনিষদ্‌