গুরুর মত, তিনিও ভূমিতে একটী গর্ত্ত খনন করিয়া তন্মধ্যে যাইতে লাগিলেন এবং অনেক ঘণ্টা ধরিয়া বাস করিতে লাগিলেন। তার পর তিনি আহার সম্বন্ধে অতি ভয়ানক কঠোর সংযম আরম্ভ করিলেন। সারাদিন তিনি নিজের ছোট আশ্রমটীতে কার্য্য করিতেন, তদীয় পরম প্রেমাস্পদ প্রভু রামচন্দ্রের পূজা করিতেন, উত্তম খাদ্য রন্ধন করিয়া (কথিত আছে, তিনি রন্ধনবিদ্যায় অসাধারণ পটু ছিলেন) ঠাকুরকে ভোগ দিতেন, তার পর সেই প্রসাদ বন্ধুবান্ধবগণ ও দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করিয়া দিতেন এবং অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত তাহাদের সেবা করিতেন। তাহারা সকলে যখন শয়ন করিত, তখন এই যুবক গোপনে সন্তরণ দ্বারা গঙ্গা পার হইয়া উহার অপর তীরে যাইতেন। তথায় সারা রাত সাধনভজনে কাটাইয়া ঊষার পূর্ব্বেই ফিরিয়া আসিয়া বন্ধুবর্গকে জাগাইতেন এবং পুনর্ব্বার সেই নিত্য কার্য্য আরম্ভ করিতেন, আমরা যাহাকে ভারতে ‘অপরের সেবা বা পূজা’ বলিয়া থাকি।
ইতিমধ্যে তাঁহার নিজের খাওয়াও কমিয়া আসিতে লাগিল, অবশেষে, আমরা শুনিয়াছি, উহা প্রত্যহ এক মুঠা তেঁত নিম পাতা বা কয়েকটা লঙ্কা মাত্রে দাঁড়াইল। তারপর তিনি গঙ্গার অপর পারের জঙ্গলে যে প্রত্যহ রাত্রে সাধনের জন্য যাইতেন, তাহা ক্রমশঃ কমিয়া যাইতে লাগিল এবং তিনি