পাতা:পওহারী বাবা.djvu/২৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০
পওহারী বাবা।

কিছু বিশেষরূপ বহির্জ্জগতের ক্রিয়াশীলতা ছিল না। সেই ভারতীয় আদর্শ যে, বাক্যের দ্বারা নয়, জীবনের দ্বারা শিক্ষা দিতে হইবে আর যাহারা সত্য ধারণ করিবার উপযুক্ত হইয়াছে, তাহাদেরই জীবনে সত্য প্রতিফলিত হয়,—ইঁহার জীবন তাহারই আর একটী উদাহরণ। এইরূপ ধরণের লোকেরা যাহা তাঁহারা জানেন, তাহা প্রচার করিতে সম্পূর্ণ অনিচ্ছুক, কারণ, তাহাদের দৃঢ় ধারণা এই যে, বাক্যের দ্বারা নহে, ভিতরের সাধনা দ্বারাই সত্যলাভ হয়। ধর্ম্ম তাঁহদের নিকট সামাজিক কর্ত্তব্যের প্ররোচক শক্তিবিশেষ নহে, উহা সত্যের দৃঢ় অনুসন্ধান এবং এই জীবনেই উহার সাক্ষাৎকারস্বরূপ।

 তাঁহারা কালের এক মুহূর্ত্ত হইতে অপর মূহূর্ত্তের অধিকতর কিছু শক্তি আছে, একথা অস্বীকার করেন। অতএব অনন্তকালের প্রতি মুহূর্ত্তই অন্যান্য মুহূর্ত্তের সহিত সমান বলিয়া তাঁহারা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা না করিয়া এখানেই এবং এখনই ধর্ম্মের সত্যসমূহ সাক্ষাৎ দর্শন করার উপর জোর দিয়া থাকেন।

 বর্ত্তমান লেখক এক সময়ে এই মহাত্মাকে জগতের উপকার করিবার জন্য গুহা হইতে বাহিরে না আসিবার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। প্রথমতঃ, তিনি তাঁহার স্বাভাবিক বিনয় ও পরিহাস-রসিকতা সহকারে নিম্নলিখিত দৃঢ় উত্তর প্রদান করেন:—

 “কোন দুষ্ট লোক কোন অন্যায় কার্য্য করিতেছিল, এমন