পাতা:পওহারী বাবা.djvu/৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় অধ্যায়।
২১

সময়ে এক ব্যক্তি তাহাকে ধরিয়া ফেলে এবং শাস্তিস্বরূপে তাহার নাক কাটিয়া দেয়। নিজের নাককাটা রূপ জগৎকে কিরূপে দেখাইবে, ইহা ভাবিয়া সে অতিশয় লজ্জিত হইল ও নিজের প্রতি নিজে অতিশয় বিরক্ত হইয়া এক জঙ্গলে পলাইয়া গেল। তথায় সে একটী ব্যাঘ্রচর্ম্ম বিছাইয়া বসিয়া থাকিত আর এদিক্‌ ওদিকে কেহ আসিতেছে মনে হইলে অমনি গভীর ধ্যানের ভাণ করিত। এইরূপ ব্যবহারে লোকে সরিয়া যাওয়া দূরে থাকুক, দলে দলে লোকে এই অদ্ভুত সাধুকে দেখিতে এবং পূজা করিতে আসিতে লাগিল। তখন সে দেখিল, এইরূপ অরণ্যবাসে আবার তাহার সহজে জীবিকানির্ব্বাহের উপায় হইল। এইরূপে বর্ষের পর বর্ষ চলিয়া গেল। অবশেষে সেই স্থানের লোকে এই মৌনব্রতধারী ধ্যানপরায়ণ সাধুর নিকট হইতে কিছু উপদেশ শুনিবার জন্য ব্যস্ত হইল, বিশেষতঃ জনৈক যুবক সন্ন্যাসাশ্রমে দীক্ষিত হইবার জন্য বিশেষ উৎসুক হইল। শেষে এরূপ অবস্থা দাঁড়াইল যে, আর বিলম্ব করিলে সাধুর প্রতিষ্ঠা একেবারে লোপ হয়। তখন সে একদিন মৌনব্রত ভঙ্গ করিয়া ঐ উৎসাহী যুবককে বলিল, ‘আগামী কল্য একখানি ধারাল ক্ষুর লইয়া এখানে আসিও।’ যুবকটী তাহার জীবনের এই প্রধান আকাঙ্ক্ষা অতি শীঘ্রই পূর্ণ হইবে এই আশায় পরম আনন্দিত হইয়া পরদিন অতি প্রত্যুষে ক্ষুর লইয়া উপস্থিত হইল। নাককাটা সাধু তাহাকে বনের এক অতি নিভৃত