স্থানে লইয়া গেল, তার পর ক্ষুরখানি হাতে লইয়া উহা খুলিল এবং এক আঘাতে তাহার নাক কাটিয়া দিয়া গম্ভীরবচনে বলিল, ‘হে যুবক। আমি এইরূপে এই আশ্রমে দীক্ষিত হইয়াছি। সেই দীক্ষাই আমি তোমাকে দিলাম। এখন তুমিও সুবিধা পাইলেই অপরকে নিরালস্য হইয়া এই দীক্ষা দিতে থাক।’ যুবকটী লজ্জায় তাহার এই অদ্ভুত দীক্ষার রহস্য কাহারও নিকট প্রকাশ করিতে পারিল না এবং সে সাধ্যানুসারে তাহার গুরুর আদেশ প্রতিপালন করিতে লাগিল। এইরূপে এক নাককাটা সাধু সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হইয়া সমগ্র দেশ ছাইয়া ফেলিল। তুমি কি আমাকেও এইরূপ আর একটী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা দেখিতে চাও?”
ইহার অনেক পরে যখন তিনি অপেক্ষাকৃত গম্ভীরভাবে ছিলেন, ঐ বিষয়ে আর একবার প্রশ্ন করাতে তিনি উত্তর দিয়াছিলেন, “তুমি কি মনে কর, স্থূলদেহ দ্বারাই কেবল অপরের উপকার সম্ভব? একটী মন শরীরের সাহায্যনিরপেক্ষ হইয়া অপর মনসমুহকে সাহায্য করিতে পারে, ইহা কি সম্ভব বিবেচনা কর না?”
অপর কোন সময়ে তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি এত বড় একজন যোগী, তথাপি তিনি প্রথম শিক্ষার্থীদের জন্য উপদিষ্ট, শ্রীরঘুনাথজীর মূর্ত্তিপূজা, হোমাদি কর্ম্ম করেন কেন? তাহাতে