এই উত্তর হইল, “সকলেই নিজের কল্যাণের জন্যই কর্ম্ম করে, একথা তুমি ধরিয়া লইতেছ কেন? একজন কি অপরের জন্য কর্ম্ম করিতে পারে না?”
তার পর সকলেই সেই চোরের কথা শুনিয়ছেন—সে তাঁহার আশ্রমে চুরি করিতে আসিয়াছিল, সাধুকে দেখিয়াই সে ভীত হইয়া চুরি করা জিনিষের পোঁটলা ফেলিয়া পলাইল। সাধু সেই পোঁঁটলা লইয়া চোরের পশ্চাৎ পশ্চাৎ অনেক দূর জোরে দৌড়িয়া তাহার নিকট উপস্থিত হইলেন; শেষে তাহার পদপ্রান্তে সেই পোঁটলা ফেলিয়া দিয়া করযোড়ে সজলনয়নে তাঁহার নিজকৃত ব্যাঘাতের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করিতে লাগিলেন ও অতি কাতরভাবে সেইগুলি লইবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন। তিনি বলিতে লাগিলেন, “এগুলি আমার নহে, তোমার।”
আমরা বিশ্বস্তসূত্রে আরও শুনিয়াছি, একবার তাঁহাকে গোখরো সাপে দংশন করে এবং যদিও কয়েক ঘণ্টার জন্য সকলে তাঁহাকে মৃত বলিয়াই স্থির করিয়াছিল, কিন্তু শেষে তিনি পুনরায় বঁচিয়া উঠেন আর তাঁহার বন্ধুবর্গ তাঁহাকে ও সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলে, তিনি বলেন, “ঐ গোখরো সাপটী আমার প্রিয়তমের নিকট হইতে দূতস্বরূপে আসিয়াছিল (পাহন দেওতা আয়া)।
আর আমরা ইহা অনায়াসেই বিশ্বাস করিতে পারি, কারণ, আমরা জানি, তাঁহার স্বভাব কিরূপ প্রগাঢ় নম্রতা, বিনয় ও