এমন ভাবে আদরযত্ন করিতে হইবে, যেন উহাই সিদ্ধিস্বরূপ,’ তিনি নিজেই তাহার উৎকৃষ্টতম দৃষ্টান্তস্বরূপ ছিলে।
তাঁহার বিনয়ও কোনরূপ কষ্ট যন্ত্রণা বা আত্মগ্লানিময় ছিল না। একবার তিনি আমাদিগের নিকট অতি সুন্দরভাবে নিম্নলিখিত ভাবটী ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন—“হে রাজন্, সেই প্রভু ভগবান্ অকিঞ্চনের ধন—হাঁ, তিনি তাহাদেরই, যাহারা কোন বস্তুকে এমন কি, নিজের আত্মাকে পর্য্যন্ত আমার বলিয়া অধিকার করিবার ইচ্ছা ত্যাগ করিয়াছে”—এই ভাবের প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়াই তাঁহার স্বভাবতঃই এই বিনয় আসিয়ছিল।
তিনি সাক্ষাৎভাবে উপদেশ দিতে পারিতেন না, কারণ, তাহা হইলেই নিজে আচার্য্যের পদ লওয়া হইল এবং নিজেকে অপরাপেক্ষা উচ্চতর আসনে বসান হইল। কিন্তু একবার তাঁহার হৃদয়-প্রস্রবণ খুলিয়া গেলে তাহা হইতে অনন্ত জ্ঞানবারি উছলিতে থাকিত, তথাপি উত্তরগুলি সব সাক্ষাৎভাবে না হইয়া পরোক্ষভাবে হইত।
তাঁহার আকার দীর্ঘ ও মাংসল ছিল, তিনি একচক্ষু ছিলেন এবং তাঁহার প্রকৃত বয়সাপেক্ষা তাঁহাকে অল্পবয়স্ক দেখাইত। তাঁহার তুল্য মধুর স্বর আমরা আর কাহারও শুনি নাই। তাঁহার জীবনের শেষ দশ বৎসর বা ততোধিক কাল তিনি সম্পূর্ণরূপে লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থিত ছিলেন। তাঁহার গৃহদ্বারের