—“প্রভুর আদেশে তাহ’লে তুমি মাতৃহত্যা করতে পারো?” শশীগুপ্ত জবাব দিলেন না।
—“মহারাজা চন্দ্রগুপ্ত চান গ্রীক-শৃঙ্খল থেকে ভারতকে মুক্ত করতে। পাছে মহারাজা পুরুর সাহায্য পেয়ে তিনি অজেয় হয়ে ওঠেন, সেই ভয়ে তুমি গ্রীক সেনাপতিকে নিয়ে আবার স্বদেশের বিরুদ্ধে তররারি তুলেছিলে।”
—“আমি—”
—“চুপ করো। আগে আমাকে কথা শেষ করতে দাও। যুদ্ধে আজ মহারাজ চন্দ্রগুপ্তের জয় হয়েছে। তোমাদের পঞ্চাশ হাজার সৈন্যের মধ্যে পঁয়ত্রিশ হাজার সৈন্য শুয়ে আছে কুরুক্ষেত্রের রক্তশয্যায়। তাই তুমি আবার ফিরে চলেছ নিজের মুল্লুকে। তুমি আবার সৈন্য সংগ্রহ ক’রে আলেকজাণ্ডারের প্রত্যাবর্তনের জন্যে অপেক্ষা করতে চাও। কেমন, এই তো?”
শশীগুপ্ত ঘৃণাভরে বললেন, “একজন সাধারণ সৈনিকের সঙ্গে আমি কথা-কাটাকাটি করতে চাই না। পথ ছাড়ো।”
—“পথ ছাড়বো ব’লে তোমার পথ আগ্লাই নি। তুমিই হ’চ্ছ ভারতের প্রধান শত্রু। তোমাকে আজ আমি বধ করবো।”
—“তুমি আমাকে হত্যা করবে! জানো, আমি সশস্ত্র?”
—“আমি হত্যাকারী নই, সম্মুখ যুদ্ধে আমি তোমাকে বধ করবো! অস্ত্র ধরো,—এই আমি তোমাকে আক্রমণ করলুম।”
মুক্ত তরবারি তুলে সুবন্ধু বাঘের মতন শশীগুপ্তের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ল!
নিজের তরবারি তুলে বাধা দিয়ে শশীগুপ্ত এমন ক্ষিপ্রহস্তে তরবারি খেলিয়ে তাকে প্রতি-আক্রমণ করলেন যে, সুবন্ধুর বুঝতে বিলম্ব হ’ল না, তাকে লড়তে হবে এক পাকা খেলোয়াড়ের সঙ্গে। সে অধিকতর সাবধান হ’ল।
১১২