ক্লিটাস্ আবার ব্যঙ্গভরে বললেন, “আলেকজাণ্ডার, রণক্ষেত্র ছেড়ে নাট্যশালায় চাকরি নিলে তুমি আরো বেশী যশস্বী হ’তে পারবে,—বুঝেছ?”
ক্রোধে প্রায় অবরুদ্ধ স্বরে আলেকজাণ্ডার বললেন, “ক্লিটাস্-ক্লিটাস্! চুপ করো!”
—“কেন চুপ করবো? জানো আমি তোমার জীবনরক্ষক? গ্রানিকাশের যুদ্ধের কথা কি এখনি ভুলে গেছ? আমি না থাকলে পারসীরা তো সেই দিনই তোমাকে টুক্রো টুক্রো ক’রে ফেলত, তারপর কোথায় থাকত তোমার দিগ্বিজয়ের দুঃস্বপ্ন? শঠ, কপট, নট! আমাদের প্রাণ নিয়ে তুমি ছিনিমিনি খেলতে চাও?
—“ক্লিটাস্!”
—“থামে। থামো, আমি তোমার চালাকিতেও ভুলবো না, তোমার চোখরাঙানিকেও ভয় করবো না!”
অন্যান্য সেনাপতিরাও প্রমাদ গুণে তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে বললেন, “ক্লিটাস্, তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? তুমি কাকে কি বলছ? উনি যে আমাদের সম্রাট!”
অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ক্লিটাস্ বললেন, “যাও, যাও! আলেকজাণ্ডার তোমাদের সম্রাট হ’তে পারে, কিন্তু আমার কেউ নয়! আমি ওর আদেশ মানবো না!”
মদের বিষ তখন আলেকজাণ্ডারের মাথায় চড়েছে, সকলের সামনে এত অপমান আর তিনি সইতে পারলেন না। দুর্জয় ক্রোধে বিষম এক হুঙ্কার দিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে উঠলেন এবং চোখের পলক পড়বার আগেই পাশ থেকে একটা বর্শা তুলে নিয়ে ক্লিটাসের বুকে আমূল বসিয়ে দিলেন! ক্লিটাসের দেহ গড়িয়ে মাটির উপরে পড়ে গেল, দুই একবার ছট্ফট্ করলে, তারপরেই সব স্থির!
২৪