সইতে না পেরে প্রকাশ্য বিদ্রোহের জন্যে প্রস্তুত হয়েছে। তাদের পরামর্শদাতা হচ্চেন বিষ্ণুগুপ্ত (চাণক্য) নামে এক কূটনীতিতে অভিজ্ঞ শক্তিশালী ব্রাহ্মণ। বিষ্ণুগুপ্ত আমাকে বিদ্রোহীদের নেতা হবার জন্যে আহ্বান করেছেন। তাই আমি দেশে ফিরছি আর পথে যেতে যেতে সাধ্যমত সৈন্য সংগ্রহ করছি। সুবন্ধু, এই অল্প পরিচয়েই আমি বুঝেছি তুমি বীর, বুদ্ধিমান, স্পষ্টবক্তা। তোমার মতন সৈনিক লাভ করা সৌভাগ্য। তুমিও আমার সঙ্গী হবে?”
সুবন্ধু আবার অভিবাদন ক’রে বললে, “মগধের ভবিষ্য নরপতি, আমি আপনার জয় কামনা করি। কিন্তু ক্ষমা করবেন, আপাতত মগধের গৃহযুদ্ধে যোগ দেবার অবসর আমার নেই। আমার সামনে রয়েছে এখন মহত্তর কতব্য!”
—“কর্তব্য সুবন্ধু?
—“গ্রীকদের আগমন-বার্তা নিয়ে আমি চলেছি দেশ জাগাতে জাগাতে মহারাজা পুরুর কাছে। সীমান্তে গ্রীকদের বাধা দেবার জন্যে মহারাজা হস্তী আলেকজাণ্ডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, মহারাজা পুরুর কাছে তিনি সাহায্য চান।”
চন্দ্রগুপ্ত বললেন, “তাহ’লে যাও সুবন্ধু, তুমি তোমার কর্তব্য পালন করো। কিন্তু তুমি আমার একটি ভবিষ্যদ্বাণী শুনে রাখ।”
—“আদেশ করুন।”
—“এই গ্রীক দিগ্বিজয়ীকে তুমি চেনো না। তিনি কেবল লক্ষাধিক সৈন্যের নেতা নন, রণনীতিতে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা। তিনি কিছুতেই মহারাজা পুরুর সঙ্গে মহারাজ হস্তীর মিলন ঘটতে দেবেন না। মহারাজা পুরু প্রস্তুত হবার আগেই তিনি তাঁর বিরাট বাহিনী নিয়ে যেমন ক’রে পারেন মহারাজা হস্তীকে পরাস্ত করবেনই। তারপর তিনি করবেন মহারাজ পুরুর পঞ্চাশ হাজার সৈন্যকে আক্রমণ— আমি মহারাজার সৈন্যবল জানি। লক্ষাধিক