কিন্তু বসুমিত্রের সাবধানতায় শশীগুপ্ত সে-যাত্রা বেঁচে গেল প্রাণে প্রাণে। বসুমিত্র জাগ্রত ছিল, সে তৎক্ষণাৎ নিজের তরবারি তুলে সুবন্ধুর তরবারিকে বাধা দিলে।
শশীগুপ্ত সভয়ে পিছিয়ে গেল। কিন্তু তারপরেই নিজেকে সামলে নিয়ে বিষম রাগে প্রায় অবরুদ্ধ স্বরে বললে, “বধ করো-বধ করো! ওকে কুচি কুচি ক’রে কেটে ফ্যালো!”
একশো ঘোড়ার সওয়ারের হাতে হাতে অগ্নিবৃষ্টি করলে এক শত তরবারি! সুবন্ধু দুই পা পিছিয়ে এসে গাছের গুড়ির উপরে পৃষ্ঠরক্ষা ক’রে তরবারি তুলে তীব্র স্বরে বললে, “হাঁ! আমাকে বধ করো! কিন্তু বন্দী আমি হবো না! নিজে মরবো শত্রু মারবো।”
বসুমিত্র কিন্তু সেনাপতির হুকুম তামিল করবার জন্যে কোনো আগ্রহই দেখালে না। প্রান্তরের এক দিকে চিন্তিত ভাবে তাকিয়ে সে বললে, “সেনাপতি, পূর্বদিকে চেয়ে দেখুন।”
পূর্বদিকে চেয়েই শশীগুপ্ত সচকিত স্বরে বললে, “ও কারা বসুমিত্র? ঘোড়া ছুটিয়ে আমাদের দিকেই আসছে? ওদের পোষাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ওরা এ-অঞ্চলের কোনো দেশের সৈন্য নয়! ওরা কারা, বসুমিত্র?”
বসুমিত্র উৎকণ্ঠিত স্বরে বললে, “কিছুই তো বুঝতে পারছি না! একটা অগ্রবর্তী দল আসছে, গুণ্তিতে চার-পাঁচশোর কম হবে না! কিন্তু ওদের পিছনে, আরো দূরে তাকিয়ে দেখুন সেনাপতি, পূর্বদিকে কুরুক্ষেত্রের প্রান্তর ভ’রে গিয়েছে সৈন্যে সৈন্যে! সংখ্যায় ওরা হাজার-কয় হবে! পূর্ব-দক্ষিণ-প্রান্তের বনের ভিতর থেকেও বেরিয়ে আসছে কাতারে কাতারে আরো সৈন্য!”
শশীগুপ্ত তাড়াতাড়ি নিজের ঘোড়ার উপরে চ’ড়ে বললে “বসুমিত্র! অগ্রবর্তী-দল আমাদের খুব কাছে এসে পড়েছে! ওরা ভেরী বাজিয়ে