পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোমান্সের ঠিকরে।

  • * *. *. *. *= *= *= * ** *= *

এখন এরূপ প্রথা চলিবে না কেন ? মিনির সহিত আমার বিবাহ হইতে পারে। পরদিন গড়ের মাঠে গিয়া মিনিকে সব কথা বলিলাম। মিরি বড় আনন্দিত হইল। সেই দিন হইতে আমাদের ভালবাসা আইসক্রিীম হইতে আইসের মত জমিয়া উঠিল। যখন বাড়ীতে থাকি,তাম, এক সুযোগ পাইলেই মিনিকে দেখিতে মিনিদের বাড়ী ছুটিতাম । মিনিও সুযোগ পাইলে আমাদের বাড়ী আসিত । বাবা দেখিলেন আমার পড়াশুনা ভাল হইতেছে না । গৃহশিক্ষক মহাশয়দিগকে বলিয় দিলেন, ললিতের উপর একটু নজর রাখিবেন । ( জানি না। পিতাঠাকুর মহাশয় আমাদের লাভের কথা বুঝিয়েছিলেন কি না । ) সেই দিন হইতে শিক্ষকেরা অত্যন্ত ষ্ট্রক্ট হইলেন । হোম-টাস্ক বাড়াইয়া দিলেন, হাতের লেখা দুপাতার স্থানে ১০ পাতা করিয়া দিলেন, মাল্টিপ্লিকেশন পাচটার স্থানে পনরটা দিলেন, ট্রানস্লেশন পােচ ছত্রের স্থানে পনর ছত্ৰ করিয় দিলেন, ভূগোল শুধু এসিয়ার দ্বীপ না দিয়া পৰ্ব্বত পর্যান্ত বাড়াইয়া দিলেন । ব্যাপার দেখিয়া বুঝিলাম, শিক্ষক মহাশয় ও আমাদের ভালবাসার কথা বুঝিতে পারিয়াছেন । আমি ত উভয়-সঙ্কটে পড়িলাম। অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া স্থির করিলাম, মিনিকে ভালবাসিতে হইলে অগ্ৰে পিতামাতা ও শিক্ষকদিগের মন রাখিতে হইবে। এতদ্ব্যতীত বাবা একবার চটিয়া গেলে আমাদের বিবাহের পক্ষে হয় ত গোলযোগ হইতে পারে । কাজেই শিক্ষকের মন রাখিবার জন্য তঁহার দেওয়া টাস্ক যতদূর সম্ভব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করিতে লাগিলাম । এইরূপে চারি বৎসর কাটিয়া গেল । আজ কাল মিনি আর স্কুলে যায় না, গড়ের মাঠে ও বড় একটা বেড়াইতে যায় না। দুই চারি দিন গড়ের মাঠে গিয়া যখন দেখিলাম SYS