পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fes? হাত থেকে ছাড়িয়ে মাও, না 7 ম’রে যাবে।” বৌদিদির কথায় বস্ত্ৰাঞ্চলে চক্ষের জল মুছিয়া মা বলিলেন, cवदि-भा न। श्'cव आद्र ডাকিনী কে ? মা সন্তানকে নিজের । চেয়ে ভালবাসে, তাই মা ডাকিনী । মা বুকের রক্ত দিয়ে ছেলেকে মানুষ করে, তাই মা ডাকিনী । সন্তানের দুঃখে সকলের চেয়ে আগে মা’র প্রাণ কেঁদে ওঠে, তাই মা ভাকিনী । মা সন্তানের আশাপথ চেয়ে অনাহারে অনিদ্রায় চোখের জল সার কোরে বসে থাকে, তাই মা ডাকিনী। তুই ত এর মা, তুইই ডাকিনী, তুই স’রে যা ।” মা গোপালকে আরও জড়াইয়া ধরিলেন। গোপাল কঁাদিয়া উঠিল। আমি কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া দাড়াইয়া রহিলাম দেখিয়া বৌদিদি বলিলেন, “ঠাকুরপো, কি দেখছো, মা কি আর সে মা আছেন ? উনি এখন পাগল। ছেলেটাকে বুঝি মেরে ফেল্লেন,-ওমা কি হবে !” বৌদিদি কাদিয়া উঠিলেন। তখন আর ব্যাপারটা বুৰিতে আমার বাকী রহিল না। স্নেহময়ীর হৃদয়ের অপার পুত্ৰস্নেহই তাহাকে পাগল করিয়াছে ? যাকে এক মুহুর্তের জন্য নয়নের অন্তরাল করিতে পারিতেন না, সুদীর্ঘ ছয় বৎসর কাল তাহার অদর্শনে অভাগিনী আজ উন্মাদিনী । তার দুঃখ তার সহনশক্তির সীমা অতিক্ৰম কয়িয়াছে বলিয়াই আজ তিনি উন্মাদিনী । জ্ঞান হায়াইলেও হৃদয়ের অপার স্নেহটুকু হারান নি; তাই তার উদামগতি ভিন্নমুখী করিবার জন্য বালক গোপালের প্রতি এত অনুরক্ত। নিজের সন্তানের মত পাছে গোপাল পর্য হইয়া যায়, এই আশঙ্কায় গোপালকে চোখে চোখে বুকে বুকে ক’রে রেখেছেন। বৌদিদি এই টুকু বুঝিতে না পারিয়া, পাছে সস্তানের অকল্যাণ হয়, তাই তাকে মা’র কাছ হইতে ১৩৭ ]