পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্র। সুচক আৰ্ত্তনাদ করিতেছে। রবীন্দ্ৰ ত্বরিতপদে সেইদিকে চলিলেন । অরণ্যে প্ৰবেশ করিয়া যাহা দেখিলেন, তাহাতে র্তাহার সর্বাঙ্গ শিহরিয়া উঠিল। দেখিলেন-একটী বৃক্ষ তলে ভীষণ-আকৃতি ৮ জন দস্য, সেই বৃক্ষমূলে হস্তপদাবদ্ধ একজন অশীতিপর বৃদ্ধি, ধূল্যবলুষ্ঠিত রোরুদ্যমান। একটী দ্বাদশবৰ্ষীয়া বালিকা এবং বালিকার পার্থে কিছুদূরে হস্তপদাবদ্ধ একটী যুবতী এবং সেই যুবতীর পার্থে একটী রোরুদ্যমানুষ্ঠু বৎসরের শিশু। চারিজন দন্ত্য বস্ত্রদ্বারা যুবতীর হাত পা মুখ বাধিয়া তাতুকে তুলিয়া লইয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছে। বালিকার সর্বাঙ্গে ജ് চিহ্ন। তাহার সুন্দর কর্ণযুগল হইতে কৰ্ণাভরণ বলপূর্বক ছিড়িয়া লওয়ায় দরদরধারে শোণিত নিঃস্থত হইতেছে, ঘনকৃষ্ণ কেশরাশি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত, পরিধেয়বস্ত্র ছিন্ন-ভিন্ন । বালিকা নিরাভরণা,-দেখিলে বোধ হয় তাহার অঙ্গে যথেষ্ট অলঙ্কার ছিল, দুৰ্ব্বত্তেরা সমুদয় অপহরণ করিয়াছে। বালিকা অনিন্দাসুন্দরী। যুবতীরও গাত্রের অলঙ্কারাদি দস্যগণ বলপূর্বক খুলিয়া লইয়াছে ; তাহার অবস্থাও বালিকার অনুরূপ। রবীন্দ্ৰনাথের আকস্মিক উপস্থিতি দুৰ্ব্বত্তগণের কাৰ্য্যে একটু বাধাপ্ৰদান করিল। কিন্তু তাহাতে দুষ্টগণের প্রাণে শঙ্কা কোথায় ? তাহদের মধ্যে একজন বলিল,- “এ বেটা ভণ্ডসাধু কোথেকে এ’ল ? দে বেটাকে নিকেশ ক’রে দে”। অপর একজন কহিল, “ও বেটা ত আমাদের কাজে বাধা দেয়নি, ওকে মেরে কি হবে ? বরং ওকে এই বুড়োর কাছে বেঁধে রাখা।” দস্যগণ কি ভাবিয়া তাহার মতেই মত দিল। দুইজন দাসু্য আসিয়া রবীন্দ্ৰনাথের হাত পা বাধিয়া সেই বৃদ্ধের পার্থে রাখিল। পরে দুৰ্ব্বত্তগণ যুবতীকে বলপূর্বক তুলিয়া লইয়া অরণ্যমধ্য হইতে নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেল। &