পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w AAA/YA/.../WA/A বলিয়া চলিয়া গেল। এই অবসরে অনুপমা শিশুটিকে দুগ্ধপান করাইলেন এবং রন্ধনশালায় যাইয়া রবীন্দ্ৰনাথের আহাৰ্য্যা দিবার জন্য পাচককে আদেশ করিলেন। হেমেন্দ্ৰবাবুর বাটীতে দুইজন পাচক ব্ৰাহ্মণ নিযুক্ত থাকা সত্বেও অধিকাংশ দিন অনুপমা স্বহস্তেই রন্ধন-কাৰ্য্য করিতেন । কোন বিশেষ আবশ্যক কাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকিলে, বিশেষতঃ দ্বাদশীর দিন কাঙ্গালীভোজন প্রভৃতি র্তাহার নিয়মিত কাৰ্য্যে নিয়োজিত? থাকিলে অন্নপূর্ণরূপিনী অনুপমা লে দিন আর রন্ধন-কাৰ্য্য করিবার अँदैनन्न পাইতেন না। এই কারণে অদ্য তিনি রবীন্দ্রনাথের আহাৰ্য্য দিবার জন্য পাচককে আদেশ করিলেন । রবীন্দ্রনাথের আহার সমাপ্ত হইলে, অনুপমা পুনরায় দীর দালানে আসিয়া দাড়াইলেন। তখনই ভীমৰ্চাদ আসিয়া ভূমিষ্ট হইয়া প্ৰণাম করিল এবং আদেশের অপেক্ষায় যোড়হস্তে দণ্ডায়মান রহিল। অনুপমা বলিবলিলেন, “বাবা ভীমৰ্চাদ! আমার একটী কাজ করতে হবে।” “কি কাজ মা, হুকুম করুন।” এক্ষণে ভীমৰ্চাদের একটু পরিচয় দেওয়া আশ্যক। সে জাতিতে চণ্ডাল। সে হেমেন্দ্ৰবাবুর বাড়ীতে পাইকের কাৰ্য্য করিত। লোকটী খুব বিশ্বাসী এবং প্ৰভু ভক্ত। প্রভুর কাৰ্য্যোদ্ধার করিতে সে সর্বদাই “মরিয়া”। তাহার পিতা পিতামহ এই বাড়ীতে পাইকের কাৰ্য্য করিত । ভীমৰ্চাদের আকৃতি যেরূপ অসুরতুল্য, তাহার দেহে শক্তিও তেমনি প্রভৃত। লাঠীখেলায় তাহার সমকক্ষ সে অঞ্চলে আর কেহই ছিল না। তাহার হাতে লাঠী থাকিলে সে কাহাকেও ভয় করে না। ভীমচাঁদের কথা শেষ হইলে অনুপমা বলিলেন, “দাদা আজ একলা ত্রিবেণীর জঙ্গলের [ ૨8