পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৩ পভাস খণ্ড অন্তরে, দিবা নিশি যেন হুতাশন ৷ হইবে কি ক্রীড়া তার, পূর্বমত পুনর্বার, নির্জনেতে লয়ে সঙ্ক তার। সে রূপ আর প্রণয়, কখন হবার নয়, অনুমান করি এই বার ॥ বুঝি সে নন্দ নন্দনে, শ্যামল অঙ্গ চন্দনে, তার নাহি করিব ভূষণ। বনমালা গলে দিয়া, আনন্দে মগন হৈয়া, কবে হবে সে মুখ দর্শন ॥ মালতী কেতক বন, চারু চম্পক কানন, এ সকল বন রম্যস্থলে । পুনঃ কি যাইব রঙ্গে, শ্যাম নটবর সঙ্গে,আনন্দেতে শ্রীরাসমণ্ডলে ॥ রম্য রম্য বৃন্দাবনে, মাধবী মধু কাননে, সঙ্গে লৈয়া শ্ৰীমধুসূদন । পুনঃ কি ঘটিবে আর, এই কপালে আমার, শ্যাম সঙ্গে করিব ভ্রমণ ॥ নির্জনে যমুনা জলে, কৃষ্ণ সহ কুতুহলে, সখীগণ মিলিয়া সাদরে । রাস ক্রীড়া সরোবরে, লয়ে সে সব নাগরে, বিবাহ করিব প্রেমভরে । মলয়ে রত্ন মন্দিরে, শ্ৰীগণ্ড বন সমীরে, অতি মনোরম্য সরোবরে। কবে সে প্রভুর সনে, ভ্রমণ করিব বনে, একান্ত বাসনা এ অন্তরে ॥ এতবলি ঐরাধিকা, বিরহে কাতরা ধিকা, কৃষ্ণ পদাম্বুজ ধ্যান করি। মহেশচন্দ্র দাসে কয়, কৃষ্ণ লীলা শুভদয়, চরমেতে ক লভয় তরি ॥ উদ্ধব রাধাকে প্রবোধ দেন । উদ্ধব রাধায় তবে দেখি অচেতন । নানান প্রকার করে তাহারে চেতন ৷ তব নাম শরণেতে ব্যাধি হয় নাশ ।