পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । \రి রাক্ষসী । যশোদা পাইয়া শাড়া দাণ্ডাইল আসি ॥ ছল করি নিশাচর লাগিল কহিতে। তব পুত্র হইয়াছে কেমন দেখিতে ৷ বহু দিন হৈল হেথা না পারি আসিতে । কেমন হয়েছে পুত্র না পাই দেখিতে ॥ যশোদা তাহার মৰ্ম্ম কিছু না জানিয়া । কৃষ্ণ ধনে আনি দিল যতন করিয়া ॥ রাক্ষসী কোলেতে লয় করিয়া যতন । বিষন্তন মুখে তার করেন অপর্ণ ॥ যেই মাত্র বিষস্তন দিলেন মুখেতে । অমনি শ্ৰীকৃষ্ণ টান দেন কৌতুকেতে ॥ দারূণ বেদন পায়ে রাক্ষসী দুর্জয় । মহাশব্দ করি তবে পড়িল ধরায় । তাহার চাপনে কত বৃক্ষ চূর্ণ হইল। প্রাণ ভয়ে বনজন্তু পলাইয়া গেল। এখানেতে ব্ৰজপুরে যত গোপগণ । বিষম চীৎকার ধ্বনীকরিল শ্রবণ ॥ দ্রুতগতি গিয়া সবে দেখিল তথায় । বিকট আকার রূপে পড়িয়া ধরায় ॥ তাহার বক্ষেতে খেলিছেন কৃষ্ণধন। দেখি চমকিত হইল যত গোপগণ ॥ নন্দ উপানন্দ কৃষ্ণে দেখিয়া তথায । হাহাকার ধ্বনি করি দ্রুতগতি ধায় ৷ শ্ৰীকৃষ্ণেরে কোলে লয়ে কৈল আগমন । যশোদার প্রতি কত করিল ভৎসন। যশোদা বলেন আমি কিছুই না জানি। কোথা হৈতে আইল এক সুন্দরী কামিনী। ভগ্নী ভগ্নী বলি মোরে সম্বন্ধ পাতায়ে । ক্রোড় হৈতে লয় পুত্র ক্রোড়েতে করিয়ে ৷ অনুমান করি এই হবে নিশাচরী। পূর্ব জন্মের সাধনা তেই পাইলাম হরি ॥ এত বলি কৃষ্ণধনে লইয়া