পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । "> পূর্ণিমার চন্দ্র জিনি বদন হুন্দর। স্তন পিয়াইতে মুখ করে নিরীক্ষণ । মন্দ মন্দ মধু হাসি নবীন দশন। আনন্দ সাগরে ভাসি নটবর অঙ্ক । রহিতে নাহিক পারে পাইলে আতঙ্ক ॥ যখন বালক লীলা করে বনমালী। যশোদা সহিতে নারে তাহার ধামালি ৷ ক্ষণে উঠে ক্ষণে পড়ে ক্ষণে দোহে ধায় । দেখিয়া গোপিনীগণ পিছে পিছে ধায় ॥ বড় বড় মহীষ বৃষের শৃঙ্গ ধরে । বনের ভিতরে যায় জলে গিয়া পড়ে ॥ সপ ধরিবারে যায় হইয়া নির্ভয় । কেহ নিবারিতে নারে দেখাইয়া ভয় ॥ চঞ্চল দোহার বেশ মধুর মূরতি। রাখিতে না পারে মাত সকাতর অতি ॥ নিজ গৃহ কৰ্ম্ম রাণী না পারে করিতে। মনে ভয় দুঃখ পায় না পারে ধরিতে ॥ কত দিন পরে যত ব্রজ শিশু সঙ্গে । করেন বিবিধ কেলী আনন্দেতে রঙ্গে ॥ নানা মনোহর কেলি করে যদুরায় । গোপ গোপীকার চিত্তে আনন্দ বাড়ায় ৷ কৃষ্ণের চঞ্চল লীলা দেখি গোপীগণ । যশোদার স্থানে গিয়া করে নিবেদন ॥ শুনহ যশোদা রাণী কৃষ্ণের ব্যাভার । ছড়ায়ে ফেলায় দধি দুগ্ধের পসার। বাছরি লইয়া গাভি দুগ্ধেতে পিয়ায় । মারিবারে যাই যদি হাসিয়া পলায়। তব পুত্র গুণ মাগে৷ কি কব তোমায়। ঘরে ঘরে দধি দুগ্ধ চুরি করি খায়। খাইতে না পারে যদি বালক ভুঞ্জায় ৷ নহে বা দধির ভাণ্ড ভাঙ্কিয়া ফেলায়। যদি ঘরে নাহি পায় করে অহঙ্কার । পোড়ায়ে ফেলিব ঘর তার যে দুয়ার ॥ এত বলি ধেয়ে