পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খও । (ζ (ζ কলাবতী উপাখ্যান । শৃণুস্য নরশাৰ্দ্দল কলাবতামুপাখ্যান । ব্ৰহ্মার মানস পুত্ৰি কথয়ামি তয় সহ ॥ কহিছেন নৃপমণি, তোমার মুখেতে শুনি, কেবা সেই কলাবতী সতী । বিশ্বকৰ্ম্ম পুরী যার, করে অতি সুবিস্তার, নানারত্বে নিৰ্ম্মাইল অতি ॥ শুনি মুনিবর কন, শুন রাজা বিচক্ষণ, প্রজাপতির মানষে উৎপতি। বৃষভাকুর কামিনী, রূপে ত্রিভুবন জিনি, নাম তার কলাবতী সতী ॥ যার কন্যা স্ত্রীরাধিকা, শ্ৰীকৃষ্ণের প্রাণাধিকা, কৃষ্ণের অৰ্দ্ধাংশ তেজ সম । চরণান্ধুজে যার, স্থপবিত্র এসংসার ব্রহ্মময়ী রূপে অনুপম ॥ যার পদ দৃঢ় ভক্তি, শান্তগণের আসক্তি, যার পাদপদ্ম আরাধনে। সেমূল প্রকৃতি পরা, ত্ৰিজগত মনোহরা, সৰ্ব্ব দেব প্রণত চরণে ॥ বলিলেন ঋষিরাজ, শুন শুন মহারাজ, ব্রহ্মার মানষ কন্যা সতী । কি পুণ্যে মানবগণ, কেন পান দরশন, কেন দেবি আইলা বস্থমতী ॥ বৃষভানু ব্ৰজেশ্বর, কহ মহা মুনিবর, পূৰ্ব্বে সেই ছিল কোন জন । কোন তপস্যার দ্বারে, কন্যা পান কি প্রকারে, সেই কথা করিব শ্রবণ ॥ শ্রবণেতে শুক মুনি, বলে শুন নৃপমণি, মন দিয়া কর হে শ্রবণ। মুখে মৃদু মন্দ হাস, বলে করিয়া প্রকাশ, ইতিহাস শুন দিয়া মন ৷ ব্ৰহ্মার মানষ কন্যা, রূপে গুণে মহী ধন্যা, তিন জন জন্মে সুলক্ষণ রত্ন মালা কলাবতী,