পাতা:পঞ্চরাত্র - গুরুবন্ধু ভট্টাচার্য্য.pdf/১০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চরাত্র
প্রথম অঙ্ক
ভীষ্ম ও দ্রোণের প্রবেশ

 দ্রোণ! ধর্ম্মাচরণতৎপর দুর্য্যোধন আমার প্রতিই অনুগ্রহ প্রদর্শন কচ্ছেন—তা হবে, কারণ শিষ্যের দোষ বন্ধু বা মিত্রকে স্পর্শ করে না, আচার্য্যকেই আশ্রয় ক’রে থাকে। গুরুর হাতে বালককে একবার সমর্পণ ক’রে দিলে মাতাপিতার আর কোনও অপরাধের (পাপের) ভয় থাকে না।

 ভীষ্ম। এই যে দুর্য্যোধন এ দিকেই আসছে। এই দুর্য্যোধনই অর্থ গ্রহণ ক’রে সুসমৃদ্ধ হয়েছিল, এবং রণপ্রিয় বলে বিস্তর অযশের ভাগীও হয়েছিল;[১] কিন্তু এখন যজ্ঞ ক’রে পুণ্যলাভ করেছে, সুতরাং তাহার এই অতুল ঐশ্বর্য্য ও দেহকান্তি এখন আবার তাহার শোভাই বর্দ্ধন কচ্ছে।

দুর্য্যোধন, কর্ণ ও শকুনির প্রবেশ

 দুর্য্যো। আমার আত্মা এখন সন্তোষ-তৃপ্ত, গুরুজন পরিতুষ্ট, আমি এখন জগৎবাসীর বিশ্বাসের পাত্র, আমার অযশ দূর হয়েছে এবং ধার্ম্মিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


  1. ‘অযশো নিপীতবান’—মূলে এই বাক্যটি আছে— ইহাতে বুঝা যায় যে, তিনি যতদূর সম্ভব অযশ লাভ করেছিলেন।
১০