পাতা:পঞ্চ-প্রদীপ - সুবোধচন্দ্র মজুমদার.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চ-প্ৰদীপ।। k আর গোপাল-তার পুজির মধ্যে পঞ্চাশটি টাকা ৮ সে বিশ দুই ধান বেচিল, একটা গাই-বাছুর বিক্রয় করিয়া আরও গোটা পঞ্চাশ টাকা সংগ্ৰহ করল। গৃহিণী ও ছেলেকে ডাকিয়া বলিল-“দেখ, আমি ত শ্ৰীক্ষেত্তর চল্লাম, কিন্তু যাকে যাকে যে রকম কড়ার করেছি। তাকে সে দিনে তার পাওনা চুকিয়ে দিও আর সাবধানে থেকে।” বাস, উপদেশ ফুরাইল। আর যে কিছু বলতে হবে তা তার জোগাইল না । কেননা গোপালের গৃহিণী সেই সময় রোদনোন্মুখী হইয়া ক্ৰমান্বয়ে নাক ঝাড়িতে আরম্ভ করিলেন । গোপাল গতিক বুঝিয়া সেখানে আর বিলম্ব মাত্র না করিয়া একেবারে চক্রবক্তী মহাশয়ের বাড়ী পৌছিল। চক্রবত্তী মহাশয় ছাতাটি লাঠীটি ও একটি - ক্ষুদ্র পুটুলীতে দুই পানি কাপড় লইয়। তখনও পুত্রকে উপদেশ দিতেছেন এবং মধ্যে মধ্যে র্তাহার কোমরে বাধা বেটুয়াটিকে সামলাইতেছেন । তার পর দুই জনে গ্রামের সীমায় আসিয়া সঙ্গীদের আত্মীয় স্বজনদের বিদায় দিয়া বঁকুড়ার রাস্তা ধরিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । উভয়ে পথ হাটতে বেশ অভ্যস্ত। গোপাল একটু মোটা মানুষ, তার উপর তামাক খাওয়ার লোভটা সে সন্ধারণা করিতে পারিত না । পথের ধারে মুদীর দোকানে চটিতে বা চাষার বাড়ীতে কেহ তামাক খাইতেছে দেখিলে বসিয়া দু'টাে কথা না কহিয়া. ৫২