১১২ পঞ্জাব রাজ্যের ইতিহাস । খোরাজ মহম্মদকে আহত করিয়াছিলেন, এই যুদ্ধে গোবি ন্দের পুত্র জুবার ও অজিত সিংহ উভয়ে অতি সাহসে অসীম শৌৰ্য বীর্ঘ্য প্রকাশ করিয়া নিহত হয়, পরে গুরু গোবিন্দ পুত্ৰ শোকে বিকলাঙ্গ ওঁমতুল্যযুদ্ধে,জয় প্রত্যাশায় বঞ্চিত হইয়। যুদ্ধাবশিষ্ট পঞ্চজন সৈন্য লইয়া পলায়ন করিলেন, এতদ নন্তরে তাহার চরিত্র লেখক শীক ও যবন গ্রন্থ কারের পর স্পর মতভিন্ন হইয় কেহ২ কছেন যে গুরু গোবিন্দের চম্পা কর নগরে আগমন পূৰ্ব্বে ভস্মাস্তু গুজারী তাহার তরুণ তনয় ফতে সিংহ ও জোরয়ারসিংহকে লইয়া সরহিন্দ নগরে পলা ইয়া যান তথাকার রাজকার্য্যি কলোযশরাও নির্দয়ত ৰূপে গোবিদের পুত্র দ্বয়কে ধৃত করিয়া মৃত্তিক মধ্যে গাড়িয়া দেয় তদৃষ্টে গুজারি শোকাঘাতে বিনষ্ট হয়। গোবিন্দ চম্পাকর হইতে পলায়নের পর শোক রোগ কুং পিপাসায় আৰ্ত্তি হইয়া মগতসর স্থানে উপস্থিত হইলে তাহার জীবিত সংবাদ প্রাপ্তে তন্নিকট পুনৰ্ব্বার দ্বাদশ সহস্ৰ শাক সেনা উপস্থিত হয়, তদ্বারা তিনি সরহিন্দের গরবনরকে যুদ্ধে পরাভূত করত বহু শত যবন সেনাকে নিহত করিয়া ছিলেন, ঐ সময়ে তাহার বারম্বার বীরত্ব সংবাদ শ্রৱণে আওরঙ্গজেব বাদশাহ বিস্মর পন্ন হুইয়। তাছাকে স্বসৈন্য সহিত আহ্বান করত লোকান্ত রিত হন, তাহার পুত্র বাহাদুর শাহ গোবিন্দকে সেনাপতিত্ব পদাভিষিক্ত করিয়৷ তদুর মহারাষ্ট্রীয় যুদ্ধে জয়ী হইয়৷
পাতা:পঞ্জাবেতিহাস.djvu/১২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।