পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতমশাই - وی \8 দিয়াছিল, আর তাহা জলে নাই। সারা দিন অভুক্ত। ভয়ে ভাবনায় সহস্ৰ বার ঘর বার করিয়া মখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গেল, কেহ আদিৰে এ ভরসা আর যখন রহিল না এবং এই নির্জন নিস্তব্ধ বাটতে সমস্ত রাত্রি নিজেকে নিছক একাকী কল্পনা করিয়া যখন বারংবার তাহার গায়ে কাট দি: গিল.এমনি সময়ে বাহিরেচরণের সুতীক্ষ কণ্ঠের মাতৃ-সম্বোধনশুনিয়া তাহার জল-মগ্ন মন অতল জলে যেন অকস্মাৎ মাটিতে পা দিয়া দাড়াইল । সে ছুটিয়া আসিয়া চরণকে কোলে তুলিয়া লইল এবং তাঁহার মুখ নিজের মুখের উপর রাখিয়া, সে যে একলা নহে, ইহাই প্রাণ ভরিয়া অতুভব করিতে লাগিল । চরণ চাকরের সঙ্গে আসিয়াছিল। রাত্রে মাগরদির পরে কুঞ্জনার্থে: নূতন দোকালে তাংয়ে স্থান করা হইল। বিছানায় গুয়া ছেলেকে -বুকের কাছে টানিয়া কুসুম নানাবিধ প্রশ্ন করিয়া শেষে চুপি চুপি জিজ্ঞাস কfফুল, স্থা চরণ, তোমার বাবা কি কচ্চেন ? চরণ ধড়ফড়, করিয়া উঠিয়া গিয়া তাহার জামার পকেট হইতে একই ছোট দুটুলি আনিয়া তাহার হাতে দিয়া বলিল, আমি তুলে গেষ্ঠি ম' বাবা তোমাকে দিলেন । & কুসুম হাতে লইয়াই বুঝল, তাহাতে টাকা আছে । চরণ কহিল, { বাবা চলে গেলেন। কুসুম ব্যগ্র হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কোথা থেকে চলে গেলেন রে ?

  • > *.

চরণ হাত তুলিয়া বলিল, ঐ যে হোথা থেকে । এ-পরে এসেছিলেন তিনি ? চরণ মাথ নাড়িয়া কছিল, ই, এলেছিলেন ত । কুসুম তার প্রশ্ন করিল না। নিদারুণ অভিমান স্তব্ধ হইয়া পড়িয় রছিল । সেই সে দিন দ্বিপ্রহরে তিনি একবিন্দু জল পর্যন্ত না থাষ্ট্ৰয়