পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। ዓዓ কবিতা পাঠ করিয়া বুৰিতে পারি। এখন বুঝি কি জন্য লিখিয়াছিলেন “शांश ! शंग्र ! कांद्र बख्रि आंभांद्र थांऑब्र কি যে প্রিয় কন্যাগুলি, বণি” তা কেমনে সুখে ভাসি দেখে হাসি তাদের বদনে, বহু পাপ, বহু কষ্ট আমার সংসারে বহু অনুতাপ, তাই ঈশ্বর আমারে ভুলাইতে নিষ্কলঙ্ক প্ৰসন্ন সবল সঙ্গীগুলি চাবিদিকে দিলেন ঘেরিয়া ।” স্নেহশীল শিবনাথ সন্তান-স্নেহেব ভিতরে ক্ষণিক তৃপ্তি শান্তি অনুভব কবিতেন, কিন্তু তাহাতে কি এত বড় অগ্নি নির্বাপিত হয় ? অনেক বৎসব পাবেও ডাযোরিব পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় গভীর মৰ্ম্মবেদনাব কথা লিখিত হইয়াছে। এ জালা কখন শীতল হয় নাই--- চিতাগ্নি কি তাহা শীতল করিযাছে ?--না, তাহাও সংশয় করি । ২৯ জানুয়ারি, ১৮৭৮ সালে লিখিতেছেনঃ“জগদীশ্বব জানেন, আমাব হৃদয়ে ভালবাসা কত অধিক । প্ৰসন্ন এবং বিরাজ উভয়কে কত ভালবাসি। * * * হায় ! হায়! এমন কুকৰ্ম্ম কেন করিয়াছিলাম।” এই অনুতাপ অনুশোচনা চিরদিন হৃদয় ক্ষতবিক্ষত করিয়াছে। ১৮৬৫ সালে দ্বিতীয় বার বিবাহের পর হইতেই এই বৃশ্চিকদংশন আরম্ভ হইয়াছিল। দারিদ্র্যের ভিতরও শিবনাথ পরমানন্দে দিনপাত করিতেন। সংস্কৃত কলেজের দুরূহ পাঠ্য কণ্ঠস্থ করিয়াও কবিতা লিখিয়া আপনার ও বন্ধুদের চিত্তবিনোদন করিতেন। সদানন্দ সদাপ্রফুল্প শিবনাথের মুখে হাসি ছাড়া কেহ অন্য কিছু দেখে নাই।