পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR O শিবনাথ-জীবনী । কাৰ্য্য করিতে হইল। প্ৰথম উদ্যোগেই এমন সফলতা সচরাচর দেখা যায় না । সকলেই জানিত শিবনাথ কলেজের উৎকৃষ্ট ছাত্র ও কবি, তিনি যে ব্ৰাহ্মসমাজের উৎকৃষ্ট আচাৰ্য্য হইবেন, সেইদিন তার লক্ষণ সুচিত হইয়াছিল। সেদিনকার উপদেশের কথা চারিদিকে রাষ্ট্র হইয়া পড়িল । সিন্দুরিয়াপটীর পারিবারিকসমাজে তাকে স্থায়ীভাবে আচাৰ্য্যের কার্য্য অনেক দিন করিতে হইয়াছিল। যেথাই থাকুন, প্ৰতি শুক্রবার সিন্দুরিয়াপটতে উপাসনা করিতে যাইতেন। এই উপাসনার জন্য সমুদয় সপ্তাহ ধরিয়া প্ৰস্তুত হইতেন, এবং যাহাতে উপাসকগণের বিশেষ উপকার হয়। সেজন্য চিন্তা করিতেন । শিবনাথের প্রকৃতিতে দায়িত্বজ্ঞান চিরদিন উজ্জল ছিল, যে কোন কাৰ্য্যই হউক লঘুভাবে কোন দায়িত্ব গ্ৰহণ করা তার অভ্যাস ছিল না। অনেক দিন সিন্দুরিয়াপটীর সমাজে আচাৰ্যোর কার্য্য করাতে তার এই মল্লিক পরিবারের সহিত বিশেষ ঘনিষ্ঠতা জন্মে। গোপালচন্দ্ৰ মল্লিক যতদিন বঁচিয়া ছিলেন শিবনাথের প্রতি হৃদয়ের গভীর শ্ৰদ্ধা ও সদ্ভাব পোষণ করিতেন । ১৮৭ • সালের প্রথমেই কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় বিলাত যাত্রা করেন । দীক্ষিত হওয়ার পর কেশবচন্দ্রের সহিত শিবনাথের বিশেষ সোগা স্থাপিত হয় । কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় বিলাত গমন করিলে শিবনাথ তর্তার বিচ্ছেদ বড় তীব্রভাবে অনুভব করেন। কেশবচন্দ্রের বিলাত গমনোপলক্ষে তিনি যে কবিতা রচনা করেন তাতে র্তার সেই সময়কার মনের ভাব কিঞ্চিৎ প্ৰতিফলিত হইয়াছে। কয়েক মাস পরেই কেশবচন্দ্ৰ নবভাব, নবউৎসাহ, নবোদ্যম লইয়া দেশে ফিরিয়া আসিলেন। আসিয়াই পরম উৎসাহে নানাবিধ সাধু