পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У Str শিবনাথ-জীবনী । পরামর্শ সাতবৎসর ধরিয়া চলিয়াছিল, নিমেষে তাহা শূন্যে মিলাইয়া গেল ! তিনি ত জানেন না যে সাত বৎসর ধরিয়া বিরাজমোহিনী তার সেই অপরিচিত স্বামীকে স্বামী বলিয়াই ধ্যান করিয়া আসিতেছেন। তৎক্ষণাৎ শিবনাথ সুস্পষ্ট বুঝিলেন তঁাকে দুই পত্নীই গ্ৰহণ করিতে হইবে কিন্তু অন্তরাত্মা যে তা চায় না-দুই পত্নী গ্রহণের কথা মনে স্থান দিতে পারে না । প্ৰাণ শিহরিয়া উঠিল। ভাবিলেন, “আমার আত্মার এ অধোগতি সহ্য করি কি করে ? তার চেয়ে দুই জনেরই সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখব না। সেই আমার ভালো।” মনে মনে স্থির করিলেন পত্নীদ্বয় হইতে দূরেই থাকিবেন । সেইভাবে দিন চলিল। শিবনাথ গোলদীঘিতে বেঞ্চের উপর কি কলেজের টেবিলের উপর হাতে মাথা দিয়া রজনীতে নিদ্রা যাইতে লাগিলেন । পতিপ্ৰাণা প্ৰসন্নময়ী স্বামীর ক্লেশ দেখিয়া কঁাদিয়া আকুল হইলেন। বিরাজমোহিনীর ত আশ্রমে আসা পৰ্য্যন্ত চক্ষের ধারার আর বিরাম ছিল না । এখন র্তার অবস্থা দেখিয়া সকলের মনেই ভয় হইতে লাগিল। পত্নীদ্বয়ের দুঃখে শিবনাথ কাতর হইলেন, কি করিবেন কিছুই ভাবিয়া উঠিতে পারিলেন না । আশ্রমবাসী সকলেরই প্ৰাণ অশান্তিতে পূর্ণ হইল। কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় শিবনাথকে ডাকিয়া বলিলেন, “তোমাকে দুই পত্নীই গ্ৰহণ করিতে হইবে এবং ইহাদের আশ্রম হইতে অন্যত্ৰ লইয়া যাও। বিবাহ যখন করিয়াছ তখন ইহাদের এরূপ ক্লেশ দিবার তোমার কোন অধিকার নাই।” ঠিক সেই সময়, অর্থাৎ-১৮৭৩ সালের প্রারম্ভে শিবনাথের মাতুল দ্বারকানাথু বিদ্যাভূষণ তাকে DBBDB DDDB tLDBD SS SDD D DDD BBB