পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2९भ उक्ष । চিন্তাশক্তি জাগ্ৰত করিবার জন্য “বিদ্যাবিলাসিনী” নামে এক সভা • স্থাপন করেন- সেই সময়ে ব্ৰজনাথ দত্ত নামে একজন বিদ্যোৎসাহী ভদ্রলোক মজিলপুর গ্রামে ছিলেন, তিনিও ছাত্রবৃন্দের অন্তরে জ্ঞানম্পূহ জাগ্ৰত করিবার জন্য চেষ্টা করিতেন। ব্ৰজনাথ দত্ত “প্রেমতরঙ্গিনী” “সত্যধৰ্ম্ম৷” “নিত্যকৰ্ম্ম” প্রভৃতি কয়েকখানি গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছিলেন। ব্ৰজনাথ দত্তের পুত্র শিবকৃষ্ণ দত্ত নব প্রতিষ্ঠিত হাডিঞ্জ বিদ্যালয়ের অতি উৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন । তিনিও পিতার ন্যায় গ্ৰন্থরচয়িত ছিলেন। তঁহার রচিত দুখানি পুস্তক “লুক্রেশিয়া উপাখ্যান” ও “সঙ্গীত রত্নাকর” বিশেষ প্ৰসিদ্ধ। তৎকালে শিবকৃষ্ণ দত্তের ন্যায় সাধু চরিত্রের যুবা মজিলপুর গ্রামে আর ছিল না । শিবকৃষ্ণ দত্তের জ্ঞাতি ভ্ৰাতা জমিদার দত্ত বংশের হরিদাস দত্ত মজিলপুর গ্রাষুে যুবকদিগের ভিতর জ্ঞান ও নীতি প্রচারের জন্য উৎসাহী হইয়াছিলেন । হরিদাস দত্ত মহাশয় বিদ্যাবিলাসিনী সভার সভাপতি ও শিবকৃষ্ণ দত্ত তাহার সম্পাদক ছিলেন। সভার একটী পুস্তকাগার ছিল, তাহাতে সেই সময়কার সকল উৎকৃষ্ট পুস্তক ও সংবাদপত্র গৃহীত হইত। তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা, রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ের বক্তৃতা প্ৰভৃতি এই সভায় শ্রদ্ধার সহিত পাঠ করা হইত। ভবানীপুরের “সত্যজ্ঞান সঞ্চারিনী” সভার কাগজ পত্ৰাদিও এই সভায় পঠিত হইত। ” এই প্রকারে মজিলপুর গ্রামে ধীরে ধীরে স্বাধীন চিন্তার ভাব প্রবেশ করিতে লাগিল। ১৮৫৮ সালে বিদ্যাবিলাসিনী সভার সাম্বাৎসরিক উৎসব অতি সমারোহের সহিত সম্পন্ন হয়। সেই অধিবেশনে শিবকৃষ্ণ দত্ত মহাশয় সমাজ সংস্কার বিষয়ে একটা উদ্দীপনাময় বক্তৃতা দেন এবং সভা ভঙ্গ হইবার পূর্বে জয়নগরীনিবাসী কলাবৎ