পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায় । didat মূৰ্ত্তিতে দেখিয়াছি সেই তার আসল স্বৰূপ। দারিদ্র্য যিনি স্বেচ্ছায় বরণ করিয়াছিলেন, দারিদ্র্যের ভিতর তিনি প্ৰসন্নচিত্তে থাকিবেন-তাতে আর বিচিত্র কি ? কিন্তু তিনি যে সেবাব্রত উদযাপন করিয়াছিলেন, যে সদাব্রত পালন করিয়াছিলেন, তাহা কখনই সম্ভব হইত না। যদি পত্নী প্ৰসন্নময়ীর সাহচৰ্য্য লাভ না করিতেন। বিষয়কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়াই শিবনাথ কিন্তু গৃহস্বামীর কৰ্ত্তব্য হইতে অব্যাহতি পান নাই । নিজের সংসারটা বড় ক্ষুদ্র ছিল না, তার উপর কত অনাথা বালিকা, কত বন্ধুর কন্যা উঠার গৃহে প্ৰতিপালিত হইয়াছে প্ৰসন্নময়ী তার ক্ষুদ্র জীবনে ২২টি বালিকাকে কন্যানিৰ্বিশেষে প্ৰতিপালন করিয়াছেন। ভূত্য রাখিবার সামর্থ্য বড় ছিল না, আজীবন নিজ হস্তে রন্ধন করিয়া প্ৰসন্নময়ী সকলকে পাওয়াইয়াছেন- আর কি ভাবে সংসারধৰ্ম্ম পালন করিয়াছেন যারা না দেখিয়াছেন, তঁদের বোঝান দুষ্কর। শিবনাথের জীবনের অপূর্ব বিকাশের কথা বলিতে গিয়া তার আজীবনের সুখ দুঃখের DBDDD BBBDBBBD BB D DBB sD DBDDD DBBiuD সুপ্ৰকাশ হইবে না । শিবনাথের সকল সাধন ভজন লোকসেবা পণ্ড হইয়া যাইত, যদি তীর দুঃখের সংসারে এই অন্নপূর্ণ প্ৰসন্নময়ী মা আমাদের না থাকিতেন। পিতা নাকি মাকে কখন কখন ঠাট্ট করিয়া “শঙ্করী” বলিয়া ডাকিতেন। প্রায় বলিতেন ‘সাবাস শঙ্করী”, শঙ্করী যে শিবের অন্নপূর্ণ গৃহিণী ছিলেন তাতে আর সন্দেহ নাই। শিবনাথের অনেক কীৰ্ত্তি এ জীবনে আছে, অনেক মানুষ তিনি গড়িয়া গিয়াছেন, যারা আজ দেশের গৌরব-কিন্তু তঁর প্রভাবে আমাদের জননী যাহা হইয়াছিলেন, সেই তার মহাকীৰ্ত্তি ।