পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR दिनांथ-औदन्ौ করেন । কিরূপে এই শ্ৰাদ্ধ সম্পন্ন হইয়াছিল। এখানে তাহা বোধ হয় বর্ণন করা যাইতে পারে। ১৮৬২ সালে ভাদ্রমাসে কালীনাথ দত্তের পিতৃশ্ৰাদ্ধ উপস্থিত হইল। উমেশচন্দ্র এবং কালীনাথ পূৰ্ব্বে সংকল্প করিয়াছিলেন যে ব্ৰাহ্ম পদ্ধতি অনুসারে সকল প্রকার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করিতে হইবে । কালীনাথের জননী শুনিলেন যে কালীনাথ পিতৃশ্ৰাদ্ধ করিবেন ; তিনি সন্তুষ্ট হইয়া নানাবিধ মিষ্টান্ন প্ৰস্তুত করিতে বসিলেন। কালীনাথ গ্রামের আত্মীয় স্বজন, ব্ৰাহ্মণপণ্ডিত সকলকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। তখন হরনাথ বসু ভবানীপুরে থাকিতেন। তঁহাকে সংবাদ দিলেন যে ব্ৰাহ্ম বন্ধুদিগকে লইয়া শ্ৰাদ্ধের সময় দেশে আসিতে হইবে, এবং মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ পিতৃশ্ৰাদ্ধ যে পদ্ধতি অনুসারে সম্পন্ন করিয়াছিলেন। সেই মুদ্রিত পদ্ধতি খানি পঠাইয়া দিতে হইবে। তখনকার দিনে জমিদার বাবুদিগের ভবানীপুরের বাটী হইতে মজিলপুরে পেয়াদার ডাক যাইত। মজিলপুরে ভদ্র লোকেরাও সেই ডাকে চিঠি পত্ৰ পাঠাইতেন। শ্রাদ্ধের পূর্বদিন হরনাথ বাবু, পেয়াদার ডাকে ঐকখানি অনুষ্ঠান পদ্ধতি পঠাইয়া দিলেন। ডাক জমিদার বাবুদিগের কাছারিতে পৌঁছিলে তারা হরনাথবাবুর প্রেরিত পত্র ও অনুষ্ঠান পদ্ধতি খুলিয়া পড়িলেন। তখন আর তঁহাদের বুঝিতে বাকি রহিল না যে ব্ৰাহ্ম পদ্ধতি অনুসারে এই শ্ৰাদ্ধ সম্পন্ন হইবে এবং তঁাহারা গ্রামের যত ব্যক্তি নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন। র্তাহাদিগকে ডাকিয়া এই অনুষ্ঠানে যাইতে নিষেধ করিলেন । উমেশবাবুরা কয় ভ্রাতা, রামগোপাল ভট্টাচাৰ্য্য, বারাসতের পণ্ডিত ব্ৰজনাথ প্রভৃতি দুই চারিজন লোক শ্ৰাদ্ধ স্থানে উপস্থিত হইলেন। ক্ৰমে শালতি করিয়া কলিকাতা হইতে কয়েকজন ব্ৰাহ্ম