পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R শিবনাথ-জীবনী । হইবার পূর্কে সেগুলি বিশেষরূপে বিবেচনা করিবেন। এই বিবাহে আমাদের অনেকগুলি আপত্তি আছে। প্ৰথমতঃ-আমরা বাল্যবিবাহকে পাপ মনে করি ; প্ৰকৃচ্চাঙ্গ, বিচার করিলে, কন্যার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং পতিমৰ্য্যাদাবোধ হওয়া পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করা কীৰ্ত্তব্য বোধ হয়। কয়েক বৎসর পূর্বে আপনি নিজে যখন এবিষয়ে প্রধান প্ৰধান চিকিৎসকের মত জিজ্ঞাসা করেন তখন তঁহাদের অনেকে অষ্টাদশ বা ততোধিক বৰ্ষকে বিবাহের উপযুক্ত বয়স বলিয়া নিৰ্দেশ করিয়াছিলেন, কিন্তু দেশকাল বোধে ১৮৭২ সালের ৩ আইনে নৃনিকল্পে পূর্ণ চতুৰ্দশ বর্ষকে কন্যার পক্ষে বিবাহকাল বলিয়া নিয়ম করা হয় । আপনি সে সময়ে এই নিয়মটী সন্নিবেশিত করিবার পক্ষে বিশেষ উদ্যোগী ছিলেন ; এবং আমরা প্ৰত্যাশা করিয়াছিলাম যে, আপনি রাজবিধিনিরূপিত নূনকল্প বয়সের মুখাপেক্ষা না করিয়া বরং তদপেক্ষা অধিক বয়স পৰ্য্যন্ত কন্যাকে অবিবাহিত রাখিয়া ব্ৰাহ্মসমাজে সৎদৃষ্টান্ত দেখাইবেন ; কিন্তু দুঃখের বিষয় যে আপনার কন্যার চতুৰ্দশ বৰ্ষও পূর্ণ না হইতে আপনি ৰিবাহ দিতে অগ্রসর হইতেছেন। দ্বিতীয়ত:—আপনারই পরামর্শানুসারে উক্ত আইনে পুরুষের পক্ষে নৃনিকল্পে পূর্ণ অষ্টাদশ বর্ষকে বিবাহকাল বলিয়া নিরূপণ করা হইয়াছে। তাবিয়া দেখিলে ইহাকেও একপ্রকার বাল্যবিৰাহ বলা উচিত; কিন্তু শুনিয়া যৎপরোনাস্তি বিস্মিত ও দুঃখিত হইলাম যে আপনি উক্ত রাজার ষোড়শ বর্ষ ও পূৰ্ণ না হইতে হইতেই, zDB BTYS KLBHD BBBBBLBrDSS DDD S EE DBD DDD D বিৰাহের পর দম্পতী কিছুকালের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকিবেন। এ প্রকার কোন নিয়মপুৰ্ব্বক বিবাহ দিলে বাল্যবিবাহজনিত আপত্তি উত্থাপিত