পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। 8S বাঙ্গলা স্কুলেও কিছুদিন পণ্ডিতি করিয়াছিলেন। হরচন্দ্ৰ ন্যায়রত্নকে লোকে কৃপণ বলিত । তিনি যে অত্যন্ত মিতব্যয়ী ও সঞ্চয়ী লোক * ছিলেন তাহাতে আর সন্দেহ নাই, নয়ত সেকালে গ্রামের মধ্যে একটা পাকা দোতলা বাড়ী করা সহজ ব্যাপার ছিল না । হরচন্দ্রের সংসারকে লক্ষীর ভাণ্ডার বলা যাইতে পারিত। সম্বৎসরের চাল ডাল, গৃহস্থের আবশ্যকীয় সমুদায় জিনিষ পত্ৰ তঁহার গোলায় সঞ্চিত থাকিত। পরিবার পরিজনন্দিগকে কোন দিনই অভাবের লেশমাত্র জানিতে হয় নাই, কিন্তু একটি পয়সাও যাহাতে অপব্যয় না হয়, সেদিকে তঁর বিশেষ দৃষ্টি ছিল। সেকালে হরিনাভি হইতে কলিকাতা পৰ্য্যন্ত এক প্রকার দোলদার ছেকরা গাড়ী যাওয়া আসা করিত। একটু স্বচ্ছল অবস্থা র্যাহাদের তঁাহারা পদব্ৰজে না আসিয়া এই ছেকরা গাড়ীতেই কলিকাতায় আসিতেন। সাধে কি লোকে ন্যায়রত্ন মহাশয়কে কৃপণ বলিত-ৰ্তাহার cश अवश्। निष्ठांठ मना छिल उों” नम्र, अथ5 কোন দিনই ছক্কর গাড়ীতে উঠিতেন না। সর্বদা পদব্ৰজে চাঙ্গড়িপোত হইতে কলিকাতায় আসা যাওয়া করিতেন। শিবনাথ যখন ৮ বৎসরের বালক তখন হাটিয়া মামার সঙ্গে কলিকাতায় আসিতেন । এখন গ্রামের চাষাও পদব্ৰজে কলিকাতায় আসিবার কথা ভাবে না ! সেকালে এমনই সামাজিক আবহাওয়া ছিল, যে হরচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন এক কপর্দক নিজের আরামের জন্য ব্যয় করিতেন না, তাহাকে কলিকাতার বাসায় দশ-বার জন আত্মীয় কুটুম্বকে প্রতিপালন করিতে হইত। শিবনাথের জননী গোলোকমণি আকৃতি প্ৰকৃতিতে অনেকটা পিতার মতই ছিলেন। বিশেষতঃ সাংসারিক ব্যবস্থা এবং গৃহিনীপনায় তিনি অদ্বিতীয় ছিলেন।