পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। 役> গরীব দুঃখীদের তত্ত্ব লাইতে লইতে যাইতেন, অদ্ভুক্ত কাহাকেও দেখিলে বাড়ী ফিরিবার সময় সঙ্গে লইয়া যাইতেন, সেই জন্য তিনি প্ৰায় একাকী গঙ্গাস্নান হইতে ফিরিতেন না । একথা তার পুত্রবধূদের জানা ছিল। তাহারা শাশুড়ীর জন্য বসিয়া থাকিতেন, তিনি যেদিন দুইচারজন লোক সঙ্গে করিয়া আসিতেন, সেদিন বৌদের আবার ভাত রাধিতে হইত, কাজেই শাশুড়ীর উপর মনে মনে বিরক্ত হইতেন। বৌদের এই প্রকার কষ্ট দিতে তার বড় লজ্জা হুইত, অথচ গ্রামের একজনও অভূক্ত থাকিলে, তিনি কোন প্ৰাণে মুখে অন্ন তুলিবেন । শিবনাথের দিদিমার পক্ষে তাহা অসাধ্য ব্যাপাব ছিল । শিবনাথের মাতৃকুলেব কিঞ্চিৎ পরিচয় এখানে দিলাম। শিবনাথের চরিত্রে যে সকল মহৎগুণের পরিচয় পাওয়া গিয়াছিল। তাহা তিনি কোথা হইতে পাইয়াছিলেন, তাহ পাঠকগণ একবার অনুধাবন করুন। শিবনাথের চবিত্ৰে মাতৃপিতৃকুলের সত্যনিষ্ঠা, তেজস্বিত, শ্রমশক্তি, জ্ঞানানুরাগ কি পরিস্ফুট হয় নাই ? হৃদয়ের কোমলতায় তিনি মাতামহীর যোগ্য দৌহিত্র, এবং রামকুমার ভট্টাচাৰ্য্যের যোগ্য পৌত্র। তেজস্বিতায়, সত্যনিষ্ঠায় পিতা হরানন্দের পুত্ৰ বলিয়া পরিচয় দিবার যোগ্য। জননী এবং মাতুলের ন্যায়, অসাধাবণ কৰ্ম্মশক্তি, এবং কৰ্ম্মে অবিচলিত নিষ্ঠ তাহার ছিল। সৰ্ব্বোপরি শিবনাথ ছিলেন ধৰ্ম্মগত প্ৰাণ, তাহার জননীদেবী ও মাতামহীর ন্যায় ধৰ্ম্মগতিপ্ৰাণ নারী এই বঙ্গদেশেও বিরল বটে। আর প্রপিতামহ রামজয় ন্যায়লঙ্কারের কথা কি বলিব, সেই বৃদ্ধ শিবনাথের হাত ধরিয়া “দুর্গা দুর্গ বল ভাই, দুর্গ বই আর গতি নাই’ বলিয়া যে ভাবে নাচিতে শিখিয়াছিলেন, শিবনাথ তাহা