পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আমিও খরচের একটি কপি পাঠাইবার জন্য বাঙ্গলা গভর্ণমেণ্টকে লিখিতেছি। খরচের কথা তাঁহারা যাহা বলিয়াছেন উহার একটা কপি পাঠাইতে তাঁহাদের কি আপত্তি থাকিতে পারে জানি না।

 আমার অনুপস্থিতি কালে একজন অস্থায়ী C. E. O. নিয়োগ করা হইয়াছে জানিয়া আনন্দিত হইলাম। কর্পোরেশনের কাজ কোনও ক্রমেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করিবেন এবং আমার সহিত মৌখিক যে সব কথাবার্ত্তা হইয়াছিল উহা অনুমোদিত করাইয়া লইবেন।

 আপনি আমার বাগানের উন্নতির জন্য চেষ্টা করিতেছেন জানিয়া আমি আনন্দিত বোধ করিতেছি। বাগানের ঠিক মাঝখানে একটি ব্যাডমিণ্টন কোর্ট করিবার আমার ইচ্ছা ছিল। আপনি নিশ্চয়ই সমস্ত জমিটা কাজে লাগাইয়াছেন; তবে ইহাতে কোনও অসুবিধা হইবে না কারণ ৩৮।২ নং বাড়ীর পিছনে যে খালি জায়গাটুকু পড়িয়া আছে উহা ঠিকমত পরিষ্কার করাইয়া লইতে পারিলে সেখানে ছেলেমেয়েদের জন্য একটি ব্যাডমিণ্টন কোর্ট করা যাইতে পারে।

 মাদক বর্জ্জন সংক্রান্ত আপনার প্রস্তাবটি বার বার মুলতুবী রাখা হইতেছে বলিয়া যাহা লিখিয়াছেন এজন্য আমি দুঃখিত। আলিপুর হইতে আমার চলিয়া আসার পর কর্পোরেশনের অবস্থা জানিবার জন্য খুব উৎকণ্ঠিত হইয়া আছি; এবং “কর্পোরেশনের আভ্যন্তরীণ অবস্থা”-র বিবরণ পাঠ করিতে সত্যই আনন্দ পাই।

 *  *  *

 গভর্ণমেণ্ট এখানকার সমস্ত বন্দীদের বই ইত্যাদি কিনিবার জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ৩০৲ টাকা মঞ্জুর করিয়াছেন। জানি না এতগুলি প্রাণীর মানসিক ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য এই সামান্য টাকায় কি বই কেনা যাইতে পারে—বিশেষতঃ যখন ভিন্নরুচিহি লোকাঃ * * আরও অসুবিধা এই যে, এই জেলের নিজস্ব কোনও লাইব্রেরীও নাই * *

১২০