পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জানি যে আমার কথা এত বেশী সত্য হয়ে দাঁড়াবে—অদৃষ্টের কি পরিহাস!

 আমি ৬ই জুনে তাঁর নিকট একখানি পত্র দিই—সে পত্র কি তিনি পেয়েছিলেন? তাঁর শেষ পত্র আমি এইখানেই পাই। সেই চিঠি এবং সেই চিঠির ভাষা তাঁহার ভালবাসার শেষ নিদর্শন। আমি সেই চিঠির উত্তরে ৬ই জুনে দার্জ্জিলিং-এর ঠিকানায় পত্র দিই।

 কয়েকদিন হ’ল আপনার নিকট ১৪৮নং ঠিকানায় আমরা সকলে মিলে একটা Joint চিঠি দিয়েছি। সে চিঠি পেলেন কিনা তা জানবার জন্য আমরা একটু উদ্বিগ্ন আছি। আপনার মনের অবস্থা যদি সে রকম না হয়—তা’ হলে লৌকিকতার দরুন কোনও উত্তর দেবার প্রয়োজন নাই। প্রাপ্তি সংবাদ পেলেই আমাদের যথেষ্ট হবে।

 তাঁর বন্ধুবান্ধব ও followerদের মধ্যে কেহ কেহ তাঁহার appreciation লিখেছেন বা লিখিতেছেন। কিন্তু appreciation লিখবার ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা তাঁর এত নিকটে বাস করেছি এবং তাঁহার প্রাণের গভীরতা ও বিস্তৃতি এতটা অনুভব করেছি যে সেই অনুভূতি-জনিত বিহ্বলতার মধ্যে কিছু লেখা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়।

 সান্তনা দিবার ভার যাঁদের উপর—আশা করি তাঁহারা সে কর্ত্তব্য পালন করেছেন। আমার কি সান্ত্বনা দিবার শক্তি আছে? আমারই যে সান্ত্বনার প্রয়োজন। তাই বলি আপনাকে ভগবানই শক্তি ও সান্ত্বনা প্রেরণ করুন।

 ভোম্বলকে পত্র দিয়েছিলাম—তার উত্তর পেয়েছি। প্রত্যুত্তর আগামী সপ্তাহে দিব।

 আমি বাহিরে থাকিলে আমার সেবার কোনও ফল হত কিনা জানি না। আমার সেবার প্রয়োজন হ’ত কিনা—তা’ও জানি না। কিন্তু

১৫০