পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ডাল্‌না, ছানার কালিয়া ও ছানার পোলাও খাইয়েছেন। অতএব তাঁর জয় হ’ক। দুর্ম্মুখেরাও যেন তাঁহার নিন্দা কখনও না করে!

 বাগানের খবর জিজ্ঞাসা করেছেন। এখানে বাগানের অবস্থা শোচনীয়। ফুলের বীচি লাগান হয়েছিল পিঁপড়ে ও পোকার উপদ্রবে বেশী গাছ গজায় নি। যে কয়টি হয়েছিল মুরগী কয়টা মিলে সেগুলি ধ্বংস করেছে। ফলে, গাছের মধ্যে এখন দাঁড়িয়েছে সূর্য্যমুখী এবং ঐ জাতীয় দুই এক রকম গাছ। রজনীগন্ধা গাছ কয়েকটা আছে কিন্তু গন্ধ নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। গন্ধ ও গানের অভাব সময় সময় বোধ করি। কিন্তু উপায় কি?

 এ মুলুকে ভাল চা পাওয়া যায় না—তাই কলিকাতা থেকে ভাল চা আনবার জন্য দোকানে আমরা ফরমাস দিয়েছি। এখানকার লিপ্‌টন ও ব্রুক বণ্ড চা অখাদ্য এবং উভয়ই বিলাতী। আমি গত চিঠিতে খলের কথা লিখেছিলাম। একটা ভাল খল কবিরাজী ওষুধ খাবার জন্য। এবং খুড়োকে বলবেন ভালো চায়ের দোকানের ঠিকানা আমাকে জানাতে। আমরা দার্জিলিঙের অরেঞ্জ পিকো (Orange Pekoe) চা খাই। এখানকার দোকানে ফরমাস দিয়ে আমরা কলকাতার সেই দোকান থেকে চা আনাবো।

 সবচেয়ে সুন্দর এখানকার ইলিশ মাছ। দেখতে ঠিক গঙ্গার ইলিশ। কিন্তু গঙ্গার অথবা বাঙ্গালার ইলিশের মত একটুও স্বাদ নাই। খাবার সময় বলতে পারা যায় না কি মাছ। মাছের মধ্যে রুই ভিন্ন ভাল মাছ পাওয়া যায় না। চিংড়ি মাছ পাওয়া যায় বটে—কিন্তু আগুন দর।

 আশা করি ওখানকার সব কুশল। কঞ্চি মামা এখন কোথায়? প্রাক্‌টিশ কেমন হচ্ছে? মেজদাদাকে বলবেন যে টাকার কথা যা লিখেছিলাম তা যেন পাঠান। আপনারা কি এবার দেশে যাবেন পূজার সময়? আমার Financial Secretary-র খবর কি? তিনি

১৭৪