পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তাড়াতাড়ির জন্য তাহাতে অধিক কিছু লিখিতে পারি নাই। আমি আপনার ঘরে ২টি নীলরতনবাবুর প্রেস্ক্রি‌পসন পাইলাম। কিন্তু কোন্‌টা চাই তাই বুঝিতে না পারিয়া উভয়ই পাঠাইয়া দিলাম। ছোটদাদাকে বলিবেন, তিনি বাছিয়া লইবেন।

 দিদির চিঠি শেষ করিয়া কল্য পাঠাইয়া দিয়াছি। লিলি কোথায় এবং কেমন আছে জানিতে উৎসুক হইয়াছি।

 আমার অনুরোধে মেজদাদা আমাকে একটি লম্বা চিঠি লিখিয়াছিলেন। আমি কল্য তাহা পাইয়াছি—পাইয়া কতদূর আনন্দিত হইলাম তাহা বলিয়া উঠিতে পারি না। আমার অতি সামান্য অনুরোধে তিনি যে কত পরিশ্রম করিয়াছেন তাহা ভাবিলে আমার কষ্ট হয়। পত্রটি আমি তাঁহার প্রত্যাগমন পর্যন্ত গয়নার মত তুলিয়া রাখিয়া দিব।

 আর অধিক কি লিখিব। ঈশ্বরের কৃপায় আমরা সকলে ভাল অছি। শরৎবাবু (জামাইবাবুর ভ্রাতা) এখানে আছেন। বাড়ী ঠিক হইলে বোধ হয় চলিয়া যাইবেন।

 শ্রীশ্রীগুরুদেব এবং মাতাঠাকুরাণী কেমন আছে লিখিবেন। তাঁহাদিগকে আমার ভক্তিপ্রণাম জানাইবেন। তাঁহাদিগকে আমি প্রত্যহ স্মরণ করি। তিনি এখানে যে পুষ্প চয়ন করিয়া রাখিতেন এবং আমরা গিয়া তাহার সুগন্ধ ঘ্রাণ করিতাম তাহা এখনও যেন দেখিতে পাই। তিনি যেদিন পূজা করিয়া “শান্তিজল” ও পুষ্প বিতরণ করিয়াছিলেন তাহা এখন যেন মানস-চক্ষে দেখিতে পাই। আমি বড় পাগলের মত লিখিতেছি। আপনার পড়িতে বোধ হয় কষ্ট হইবে।

 আমাদের স্কুল বোধ হয় ১৫ তারিখে বন্ধ হইবে—জানিনা—এখনও নোটিশ বাহির হয় নাই। আর যাহা কিছু বড়দাদার মুখে শুনিবেন।

 আমি ভাল আছি। যখন পুনরায় আমায় দেখিবেন তখন আমাকে এখন অপেক্ষা বলবান ও স্থুল দেখিবেন—আমি আশা