পারেন তবে তাহাদের প্রস্তুত মাল বাঙ্গলার সর্ব্বত্র (বিশেষতঃ মেলা ও উৎসবের সময়) বিক্রয় হইতে পারে। আর একটি শিল্পের প্রচার এদেশে আছে—রঙীন কাগজ হইত নানা প্রকার ফুল, তোড়া ও ফুলসমেত গাছ এবং Chinese lantern তৈয়ারী করা। জিনিষগুলি এত সুন্দর হয় যে, হঠাৎ দেখিলে চিনিবার উপায় থাকেনা যে, এগুলি কাগজের তৈয়ারী। ভদ্র ঘরের ছোট ছেলেমেয়েরাও এ কাজ খুব সুন্দর করিতে পারে।
ঢাকার বোতাম তৈয়ারী কুটীর-শিল্প হিসাবে চলিতেছে। অনেকের ধারণা যে ঢাকার বোতাম বুঝি ফ্যাক্টরীতে তৈয়ারী হয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহা হয় না। পল্লীগ্রামের ঘরে ঘরে অবসর সময়ে, এমন কি রান্নার ফাঁকের মধ্যে মেয়েরা এই কাজ করিয়া থাকে—সইজন্য এত সস্তায় জিনিষ পাওয়া যায়। বোতামের শিল্প কলিকাতায় প্রচার করা সম্ভব কিনা সে বিষয়ে একটু চিন্তা করিবেন। হয় তো কি ভাবে এই শিল্প কুটীরে কুটীরে চলিতেছে তাহা দেখিবার জন্য কাহাকেও ঢাকা জেলায় পাঠাইতে হইবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক বক্তৃতা এবং ছায়াচিত্রের বন্দোবস্ত ভবানীপুর অঞ্চলে করিতে পারিলে ভাল হয়। যেখানে গরীবদের বস্তী—বক্তৃতা হওয়া বেশী দরকার সেখানে। যদি সম্ভব হয় তবে সেবক-সমিতির জন্য একটা ম্যাজিক লণ্ঠনের আসবাব ও ছবি কিনিবার চেষ্টা করিবেন। ছায়াচিত্রের সাহায্যে স্বাস্থ্যসম্বন্ধীয় বক্তৃতা দিলে ঢের বেশী কাজ হইবে। ছবিগুলি না কিনিয়া কোন স্থানীয় চিত্রকরকে দিয়া আঁকাইয়া লইলে বোধহয় লাভ হইবে। ইতি—
১৯৯