পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আসিয়াছে। আমার মতের সহিত আপনাদের মত মিলিবে কিনা জানি না; তবু আমার মতের মূল্য যাহাই হউক না কেন, নিম্নে তাহা প্রকাশ করিতেছি।

 আমি মিঃ মোবার্লীর প্রস্তাব বার বার অতি সযত্নে পাঠ করিয়াছি। তাঁহার উচ্চারিত প্রতি শব্দ প্রতি কথা বার বার করিয়া ভাবিয়া দেখিয়াছি। একথা স্বীকার করিতেই হইবে যে, তিনি অতি সাবধানতার সহিত তাঁহার বক্তব্যে বাক্য সংযোজনা করিয়া তাহা প্রকাশ করিয়াছেন। তাঁহার প্রস্তাবের সকল দিক অতি ধীরভাবে চিন্তা করিবার পর আজ আমার নিজস্ব মত জ্ঞাপন করিতেছি, ক্ষণিক ঝোঁকের বশে হঠাৎ কোনও নির্দ্ধারণ করি নাই। এখন আমি আপনাকে যাহা লিখিতেছি তাহা বারবার গভীরভাবে চিন্তার পর নির্দ্ধারণ করিয়াছি। কিন্তু তথাপি আমার যদি কোন ভুল হইয়া থাকে, কিংবা আমার তর্ক-নীতিতে যদি কিছু যোগ করিতে ভুল করিয়া থাকি, তাহা হইলে অবশ্যই আমি তাহা স্বীকার করিয়া পুনর্ব্বিবেচনা করিব।

 প্রথমেই বলিয়া রাখি যে, মিঃ মোবার্লীর স্পষ্টবাদিতার আমি খুব প্রশংসা করি এবং আমার মনে হয়—তাঁহার ন্যায় আমিও যদি স্পষ্টভাবে সকল কথা প্রকাশ না করি তাহা হইলে অত্যন্ত অন্যায় হইবে, আমার কর্ত্তব্যও যথাযথরূপে পালিত হইবে না। স্পষ্টবাদিতায় আমি সর্ব্বদাই বিশ্বাস করি এবং আমার মনে হয় সকল কথা খোলাখুলি বলিলে শেষে উভয় পক্ষেরই সর্ব্বাপেক্ষা উপকার দর্শায়।

 মিঃ মোবার্লীর কয়েকটী কথায় আমি তাঁহাকে ধন্যবাদ না দিয়া পারিতেছি না। যেখানে তিনি বলিতেছেন যে, আমার অতীত কার্য্যকাহিনী বা ভবিষ্যৎ কার্যপন্থার কোন স্বীকারোক্তি চাহেন না—যেখানে তিনি বলিতেছেন যে, আমি যদি প্রতিজ্ঞা করিয়া বলি তাহা হইলে তাঁহারা আমাকে মুক্তি দিবেন—শেষের দিকে যেখানে তিনি

২৮৬