পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 এ মাসের ৫ই মঙ্গলবার আই জি প্রিজন্‌স্ গভর্ণমেণ্টের প্রস্তাব আমার নিকট পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। বঙ্গীয় আইন সভায় যাহা উত্থাপিত হইয়াছিল ইহা সেই একই প্রস্তাব। ঐদিনই আমি আপনাকে পর পর দুইটি তার পাঠাই। যতদূর স্মরণ আছে উহার বিষয়বস্তু আপনাকে লিখিয়া জানাইতেছি।

 (১) “আপনার ২৪শে মার্চ্চ তারিখের পত্র পাই নাই। আজ সকালে গভর্ণমেণ্ট প্রস্তাব পাঠাইয়াছেন। উহা বঙ্গীয় আইন সভায় প্রদত্ত বিবৃতিরই অনুরূপ। প্রস্তাবে কয়েকটি বিষয় অস্পষ্ট ও অসন্তোষজনক বোধ হইতেছে। আপনি আসিলে এ সম্বন্ধে আলোচনা করিতে পারিতাম।”

 (২) “২৪শে মার্চের পত্র পাইয়াছি। উহাতে নূতন কোনও সংবাদ নাই। গভর্ণমেণ্ট প্রস্তাবের কিছু কিছু অংশ সংশোধন না করিলে উহা গ্রহণযোগ্য নয়। এই রকমই গভর্ণমেণ্টকে জানাইব স্থির করিয়াছি। এখন আপনার আসার বোধ হয় প্রয়োজন হইবে না। তার পাঠাইয়া উত্তর দিবেন।”

 গত মাসের ২৯ তারিখ হইতে মোটরে করিয়া এখানে একটু বেড়াইতেছি।

 ইনসিন শহরটা রেঙ্গুনের মতই—একটু উনিশ-বিশ হইতে পারে। যতদূর বোধ হয় গ্রীষ্মকালে এখানে গরম খুব বেশী নয়। বৃষ্টিও হয় প্রচুর। মে মাসের শেষাশেষি হইতে শুরু করিয়া অক্টোবর পর্য্যন্ত চলে। মান্দালয়ের মতও এখানে গরম হইবে বলিয়া মনে হয় না, বরং অনেকটা ঠাণ্ডা। মোটের উপর এখানকার আবহাওয়া মান্দালয় হইতে ভাল হইবে কিনা ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না। ভাল হইবে আশা করি না—অন্ততঃ আমার পক্ষে।

 রেঙ্গুন ত্যাগ করিবার পূর্ব্বে আই জি প্রিজন্‌স্ আমাকে বলিয়াছিলেন যে, আমাকে পুনরায় মান্দালয়ে পাঠাইবার কোনও প্রশ্নই উঠে না; কারণ আমাকে হয়তো বর্মা ছাড়িয়া চলিয়া যাইতে হইবে।

৩০০