চতুর্থ দৃশু পথের দাবী * *为岁 চল অপূৰ্ব্ববাবু, তোমায় খানিকট এগিযে দিয়ে আসি । এই নাও সুমিত্ৰা । কৃষ্ণ আইয়ার তোমার পিস্তলটা আমার কাছেই রইল। চল হীরাসিং । একটু অগ্রসর হইল কজেন্দ্র, তোমরা সবাই তামাসা করে বলতে অন্ধকারে আমি প্যাচাব মত দেখতে পাই—আজ যেন কেউ সে কথা ভুলো না। সুমিত্র । ফাসির দড়িটা কি নিজের হাতে গলায় না পরলেই হত না । ডাক্তাব। সামান্ত একটা দড়িকে ভয় করলে চলবে কেন সুমিত্র ? ভারতী, তুমিও এস ! অপূৰ্ব্ববাবুকে খানিকট এগিয়ে দিরে আসি । - ভারতী, ডাক্তার, অপূৰ্ব্ব ও স্ত্রীরসিংএর প্রস্থান ব্রজেন্দ্র । বৰ্ম্মাল একটিভিটি আমাদের উঠল। কৃষ্ণ আইয়াব। পশুর মত এখন বনে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হবে। তলোযlরকব। জীবনের প্রতিদিন হবে দুৰ্ব্বত । ব্রজেন্দ্র । আপনি সভানেত্রী হয়ে ডাক্তাবের এই স্বেচ্ছাচাবের কাছে মাথা নত করলেন । সুমিত্রা । অন্যায় কবেচি ব্রজেন্দ্র । তাঁরজন্তু তোমরা আমায় শাস্তি দাও। ব্রজেন্দ্র। না, না, শাস্তিব কথা বলচিনে। আপনি একটু জোর কবলে আমবাও বিদ্রোহ করতুম | সুমিত্র । তুমি হয়তো বিদ্রোহ করতে পাবতে ব্রজেন্দ্র, কিন্তু আমি পবিতুম না। দুটো দিন লুকিয়ে থাকতে হবে বলে, দুটো দিন খাওয পর থাকায় অসুবিধে হবে জেনে আমরা ব্যস্ত হয়ে উঠিচি। আর সে মাচুষটি বছরের পর বছর এই সব অসুবিধা নিত্য নীরবে সহ করে প্রতি মুহূৰ্ত্ত মৃত্যুর মুখে দাড়িয়ে মাতৃভূমির মুক্তির আয়োজন করচে, তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কবব ? না, না, আমি পারবো না—আমি তা পারবে না ।
পাতা:পথের দাবী নাটক.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।