পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসহযোগ মরছে কেন ? 、、 অসহযোগ-পন্থা অবলম্বন করে” দেশ-উদ্ধারের কাজে ব্ৰতী হয়েছিলেন আজ তাদেরও মন সন্দেহে ভরে” গেছে । কংগ্রেস অফিসগুলি এক কোণে টিম টিম করছে ; দেশের জনসাধারণের সঙ্গে সেগুলির নাড়ীর যোগ যেন ছিড়ে গেছে। লোকে আর কংগ্রেস-কৰ্ম্মীদের কথায় বড় একটা কান দেয় না। অসহযোগের ধারা নেতা, কৰ্ম্মপন্থা নিয়ে তাদের মধ্যে ভীষণ মতভেদ দেখা দিয়েছে; যারা সাবেক পন্থা পুরোপুরি বজায় রেখে খাটি অসহযোগী থাকতে চান, তারাও এখন আর জোর করে’ বলতে চান না যে এই পন্থাতেই দেশের মুক্তি আসবে। কোন পন্থা খাটি অসহযোগ, আর কোনটা তা নয়-এই কথাই এখন নেতাদের কাছে বিচাৰ্য্যের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে । স্বাধীনতার কথাটা ক্ৰমেই চাপা পড়ে” আসছে । এ সব মতভেদ আর মনোমালিন্য যে অকৃতকাৰ্য্যতার ফল তা বলাই বাহুল্য। যতদিন লোকের মনে কৃতকাৰ্য হবার আশা ছিল। ততদিন এ সমস্ত লক্ষণ দেখা দেয়নি । এখন প্রশ্ন এই-কেন এমন হলো, আর এই নৈরাশ্য দূর করবার কোনো উপায় আছে কি না ? দেশের তেত্ৰিশ কোটী লোক যদি বিদেশী আমলাতন্ত্রের সংস্রব ছেড়ে দেয়, আর খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে” দেয়, তা’হলে এই আমলা- ? তন্ত্র যে কাজের বার হয়ে পড়বে। আর ক্রমশঃ শুকিয়ে মারা যাবে, । এ কথাটা বুঝতে বেশী দেৱী লাগে না। কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে দেশের লোক সে-কাজটা করে না কেন ? সে প্রশ্নের - উত্তর এই যে কথায় কথায় আমরা যে-তেত্রিশ কোটীর দোহাই ।