পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসহযোগ মরছে কেন ? So Y যদি কোনো দিন খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে তা’হলেই অসহযোগিনীতি সফল হতে পারে । কিন্তু জনসাধারণকে স্বাধীনতা-সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবার চেষ্টা সফল হয়নি, জনসাধারণের দোষে নয়, অসহযোগী নেতাদের দোষে।। র্তার চেয়েছিলেন দেশের জনসাধারণকে তঁদের নিজেদের ইচ্ছামত কাজে লাগাতে, কিন্তু দেশের জনসাধারণ সত্যি সত্যি কি চায়, তা নিৰ্দ্ধারণ করবার চেষ্টা করেননি। কংগ্রেস অফিসের কোণে বসে’ তারা ঠিক করলেন যে দেশ চায় আধ্যাত্মিক স্বরাজ আর উপায় হচ্চে অহিংস অসহযোগ। কিন্তু পোড়া দেশের লোক আধ্যাত্মিক স্বরাজ চায় কি আধিভৌতিক স্বরাজ চায়, তা কেউ মাঠে গিয়ে চাষীদের কাছে কিম্বা কল-কারখানায় গিয়ে মজুরদের কাছে জিজ্ঞেস করেননি। অথচ এই মেঠো চাষা আর মজুৱাই দেশের তেত্ৰিশ কোটির ভেতর বত্ৰিশ কোটি। কোন দুঃখ প্রতিদিন তাদের মুখের গ্রাস তিক্ত করে” তুলছে, কোন অত্যাচারে তাদের মনুষ্যত্ব প্ৰতিদিন পরের পায়ে দলিত হচ্চে, কেমন করে” সেই দুঃখ, দারিদ্র্য, অত্যাচারের প্রতিকার হবে।-সে-সব কথার কোনো স্পষ্ট উত্তর কেউ দিলেন না ; মাঝে থেকে কতকটা আধ্যাত্মিক কুঙ্কটিকার সৃষ্টি করে” নিজেদের বুদ্ধি ও দেশের লোকের বুদ্ধি ধোঁয়াটে করে তুললেন। দেশের চাষার যখন নিজেদের বুদ্ধি আর শক্তি মত সংঘবদ্ধ হয়ে নিজেদের দুঃখ দূর করবার জন্যে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করলে তখন অসহযোগ নেতারা ‘ভালো করতে পারিনে মন্দ করতে পারি।” এই নীতির অনুসরণ করে” হুকুম দিলেন