পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রোলিটারিয়েট বনাম বুর্জোয়া Sod “প্রোলিটারিয়েটের কাছে পরাজিত হইলেও বুর্জোয়া যে সেপরাজয়ের গ্লানি বুকে জমা করিয়া রাখিবে না এবং সেই দিনের প্ৰত্যাশা করিবে না। যেদিন সে এই পরাজয়ের প্রতিশোধ লইতে পারে, এরূপ মনে করিবার হেতু নাই।...... “বুর্জোয়ার প্রভুত্ব কমাইতে হইবে, তার স্বাৰ্থভরা মনে যাহাতে, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদন জাগিয়া উঠে তাহাই করিতে eel...... “প্রোলিটারিয়েটকে এমন করিয়া গড়িতে হইবে যাহাতে, বুর্জোয় আপনি তাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করিবার জন্য স্বেচ্ছায় নিজের স্বাৰ্থ প্রোলিটারিয়েটকে অনেকটা ছাড়িয়া দেয়, অর্থাৎ প্রোলিটারিয়েটদের মাথায় যাহাতে খুন না চাপে তাহার দিকেই নজর দিতে হইবে।” প্ৰবন্ধটির যে যে অংশ উপরে উদ্ধৃত করা গেল, মোট কথায় তার সার অর্থ হচেচ এই-“জমিদার আর কলওয়ালার হাতে পড়ে” চাষার আর মজুরের অনন্ত দুৰ্গতি হয়েছে, তা ঠিক ; আর এ রকম অবস্থায় বেশীদিন থাকলে তারা যে মরে? ভূত হয়ে যাবে এও ঠিক। কিন্তু দোহাই তোমাদের, জমিদার আর কলওয়ালা বাবুদের যতদিন ন সুবুদ্ধি হয়, তারা নিজের স্বাৰ্থ ভুলে’ গিয়ে যতদিন না চাষা আর মজুরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করবার জন্যে প্রেরণা পান, ততদিন চাযু আর মজুরদের একটু ধৈৰ্য্য ধরে তিতিক্ষা সাধন করতে বলে । কেননা চাষার জোর করে” যদি জমিদারদের হারিয়ে দেয়, বা, মজুরেরা কলওয়ালাদের হারিয়ে দেয় তাহলে জমিদার ও কলওয়ালা