আমাদের ঘাড়ের উপর বসিয়ে দিয়েছে। পলাসীর যুদ্ধের ফলে ইংরেজ বাংলার মসনদে উঠে বসেনি। আমাদের মনগুলো নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল বলেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রভৃতি দেশের সেকালের রাজনৈতিক পাণ্ডারা ‘একতাবদ্ধ' হয়ে ক্লাইবের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।
শুধু কুচকাওয়াজ বা ড্রিলের জোরে এ পরাধীনতা সারবে না। রোগের মূল যেখানে সেইখানে আমাদের ওষুধ লাগাতে হবে। যারা কর্মী তাঁরা বাইরের কাজের মধ্যে একতা আনবার জন্যে স্বভাবতই ব্যস্ত। কিন্তু সে একতাকে স্থায়ী করতে গেলে এ জাতের মনের গোড়ায় কাজের গোড়াপত্তন করতে হবে; এ জাত যেখানে সত্য সত্যই এক, সেইখানে কাজের বনিয়াদ গাঁথতে হবে।
আমাদের পুঁথিতে বলে যে শক্তির তিন রূপ — ইচ্ছা, জ্ঞান, আর ক্রিয়া। কোনো কাজ করতে গেলে একটা অভাব বোধ আর সেই অভাব ঘোচাবার তীব্র ইচ্ছা থাকা চাই। তারপর কি করে সে-কাজটা করতে হবে সে সম্বন্ধে একটা স্পষ্ট জ্ঞান থাকা চাই। এই ইচ্ছা আর জ্ঞানের মধ্যে যদি কোনো রকম গোঁজামিল থাকে তা'হলে বাইরের কাজের মধ্যে সে গোলমাল ফুটে যার হবে। একটা যা তা কাজ অবলম্বন করে' একতা পা চলে না।
১৯০৭ খৃষ্টাব্দে যখন সুরাট কংগ্রেস ভেঙ্গে যায় তখন এদেশের মডারেটরা ‘একতা চাই, একতা চাই' বলে চীৎকার করে'