পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একতার মূল
২৩

উঠেছিলেন। ১৯০৮ খৃষ্টাব্দের Bengalee কাগজখানা পড়ে’ দেখো একতার গুণ-কীর্ত্তনে একেবারে ভরা। কিন্তু তখন যদি দেশের লোক একতার খাতিরে মডারেটদের কথায় সায় দিয়ে যেত, তা’হলে কি দেশের বিশেষ কিছু লাভ হতো? মডারেটদের স্বাধীনতা পাবার ইচ্ছাও ছিল না, আর কি করে’ সে স্বাধীনতা পেতে হয় সে সম্বন্ধে জ্ঞানও ছিল না। সুতরাং একতার খাতিরেও দেশ যে তাদের কাজে সায় দিতে পারেনি, তাতে দেশের লোকের লাভ বই লোকসান হয়নি।

 আজি ‘অহিংস অসহযোগ’ আন্দোলনও দেশের কাছ থেকে একতার দাবী করছে। এ আন্দোলনের আদর্শ কি?—ইংরেজ সাম্রাজ্যের মধ্যে বা তার বাইরে স্বরাজ পাওয়া। আমার বিশ্বাস আদর্শের মধ্যে যেখানে অনিশ্চয়তা থেকে যায়, কর্ম্মপ্রণালীর মধ্যেও তা ফুটে বেরিয়ে পড়ে। ইংরেজ সাম্রাজ্যের মধ্যে থেকে স্বরাজ পাওয়ার মানে যে কি তা আমি বুঝিনে। আমার মনে হয় ও একটা অর্থহীন, অসম্ভব ব্যাপার। আমি দেশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। তার মধ্যে কোনো গোঁজামিলের জায়গা রাখতে চাইনে। আর কি করে’ যে সেই স্বরাজ পেতে হবে সে-সম্বন্ধেও আমি ষোল আনা ওঁদের কথা মানিনে। যেখানে কাম্যবস্তু লাভের ইচ্ছা, আর কি করে’ লাভ করতে হবে সে সম্বন্ধে জ্ঞান-এই দুই বিষয়েই মিল নেই, সেখানে বাইরের কাজে মিল কোথা হতে আসবে?

 যাঁরা মনে করেন যে একসঙ্গে কাজ করতে করতেই একতা